বাঁকুড়া: লক্ষ্য একুশের বিধানসভা ভোট। সেদিকে তাকিয়ে, দলীয় নেতা-কর্মীদের এখন থেকেই আদা-জল খেয়ে মাঠে নেমে পড়ার নির্দেশ দিলেন অমিত শাহ। সূত্রের দাবি, সকালে সাংগঠনিক বৈঠকে দলীয় নেতাদের উদ্দেশে এখন থেকে দেওয়াল লিখন শুরু করতে বলেছেন তিনি।


দলের সাংগঠনিক বৈঠকের পাশাপাশি এদিন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির এবং বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্তদের সঙ্গেও বৈঠকে বসেন অমিত শাহ। সূত্রের দাবি, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ছৌ শিল্পী, বাউল, ফুলচাষিরা। তাঁদের মধ্যে ২০ জনকে এদিন বলতে দেওয়া হয়। তাঁদের মুখ থেকেই সমস্যার কথা শোনেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।


সূত্রের দাবি, বৈঠকে সকলের সমস্যার কথা শুনে অমিত শাহ বলেন, মোদি সরকার আপনাদের সাহায্যে অনেক প্রকল্প চালু করেছে। কিন্তু, রাজ্য সরকার তার সুবিধা পৌঁছতে দিচ্ছে না।


অমিত শাহ যখন প্রান্তিক এলাকার মানুষের সমস্যার জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করেছেন, তখন পাল্টা কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে সরব তৃণমূল। রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী বলেন, ওরাই বাংলাকে বঞ্চনা করছে। আমফান, জিএসটি-র টাকা দিচ্ছে না। নানাভাবে টাকা আটকে বেইজ্জত করছেন। সব তো আমাদেরই প্রকল্প।


সূত্রের দাবি, অমিত শাহ এদিন বৈঠকে বার্তা দেন, আপনারা বাম ও তৃণমূলের শাসন দেখেছেন। এবার বিজেপিকে সুযোগ দিন। আমরা এলে শিল্পের উন্নতি হবে। বিজেপি সোনার বাংলা গড়ে দেবে।


দলীয় নেতৃত্বের সামনে তিনি দু’শো আসনের টার্গেটও বেঁধে দিয়েছেন বলে সূত্রের দাবি। জানা গিয়েছে, ২০০ আসনের টার্গেট দিয়েছেন অমিত শাহ। নেতা-কর্মীদের বলেন, বুথ সংগঠিত করতে।


যদিও, তৃণমূল এসবে গুরুত্ব দিতে নারাজ। শোভনদেব বলেন, দু’শো কেন। বিরোধী দলের মর্যাদা পাবে না। বাংলা দখলের স্বপ্ন দিবাস্বপ্ন রয়ে যাবে। বাংলা বাংলার মাটি শক্ত। লড়াই সংগ্রামের মধ্যে তৈরি করেছেন। সেখানে আঁচড় কাটা সোজা নয়।


শুক্রবারও রাজ্যে অমিত শাহর একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে।