নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘ওই পশুপালকের সংস্পর্শে আসা কয়েকটি প্রাণী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। সবাই এখন করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, ওই প্রাণীগুলি করোনা আক্রান্ত এবং তাদের মাধ্যমে মানুষেরও সংক্রমণ হতে পারে। সেই কারণেই প্রাণীগুলিকে আলাদা জায়গায় নিয়ে গিয়ে রাখা হয়েছে।’
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, তাঁরা কর্ণাটকের আইন ও পরিষদীয় মন্ত্রী জে সি মধুস্বামীর সাহায্য চেয়েছিলেন। তিনি আবার টুমাকুরু জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত। গ্রামবাসীদের আবেদনের ভিত্তিতে তিনি প্রাণীসম্পদ বিভাগকে ওই গ্রামে গিয়ে প্রাণীগুলিকে পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন। এরপরেই আধিকারিকরা গিয়ে ওই প্রাণীগুলির নমুনা সংগ্রহ করেন। ওই জেলার ডেপুটি কমিশনার কে রাকেশ কুমারকে এই ঘটনার তদন্ত করারও নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
পশু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, তাঁরা সন্দেহ করছেন, এই প্রাণীগুলি গোট প্লেগ ও মাইকোপ্লাজমা সংক্রমণে ভুগছে। তাদের নমুনা ভোপালের একটি ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। সেই পরীক্ষার রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে ঠিক কী হয়েছে।
কিছুদিন আগে নিউ ইয়র্কের চিড়িয়াখানায় একটি বাঘ করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা যায়। তবে ভারতে এখনও পর্যন্ত কোনও পশু বা প্রাণী করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা যায়নি। যদিও কুকুর, বিড়াল সহ কয়েকটি প্রাণী সংক্রমিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।