রাহুল আজ সেই সূত্র ধরে লেখেন, দুর্নীতিগ্রস্তদের ভারত থেকে চুরি করতে সাহায্য করার জন্যই আরটিআইকে দুর্বল করছে সরকার। অবাক করা ব্যাপার হল, সাধারণত দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুর চড়ানো লোকজন আচমকা উধাও! "GovtMurdersRTI". হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেন তিনি। ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধীও মোদি সরকার আরটিআই আইন পুরোপুরি বাতিল করে দিতে আদাজল খেয়ে নেমেছে, কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের স্বাধীনতা ধ্বংস করতে চাইছে বলে অভিযোগ তুলেছেন আগেই। আর কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতাও বিবৃতিতে বলেছেন, অনেক আলাপ-আলোচনা, মতামত বিনিময়ের পর তৈরি আইনটি সর্বসম্মতিক্রমে সংসদে পাশ হয়েছিল। আর আজ তা অবলুপ্তির মুখে দাঁড়িয়েছে। তথ্য জানার অধিকার আইনটি ২০০৫ এর ১৫ জুন সংসদে পাশ হয়। তা বলবত্ হয় সেই বছরের ১৩ অক্টোবর। এই আইনে প্রতিটি সরকারি দপ্তরের কাজকর্মে স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারি কর্তৃপক্ষের হাতে থাকা তথ্য জানার অধিকার দেওয়া হয়েছে দেশের সাধারণ নাগরিকদের। মূল আইন অনুযায়ী মুখ্য তথ্য কমিশনার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সমান ও তথ্য কমিশনাররা নির্বাচন কমিশনারদের সমান বেতন পেতেন। তথ্য কমিশনারদের ক্ষমতার মেয়াদ ছিল ৫ বছর বা ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত, যেটি আগে হবে, সেইমতো। কিন্তু নতুন আইনে তথ্য কমিশনারদের নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁদের বেতন, মেয়াদ ও চাকরির অন্য যাবতীয় শর্ত ঠিক করার পূর্ণ ক্ষমতা সরকারকে দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। যদিও বিরোধীরা বলছে, বিলটি তথ্য ও প্রযু্ক্তি আইনকে দুর্বল করবে, সরকার তা খারিজ করে দাবি করেছে, তারা তথ্য কমিশনের স্বাধিকার, স্বচ্ছতা বজায় রাখতে দায়বদ্ধ। দুর্নীতিগ্রস্তদের ভারত থেকে চুরি করতে সাহায্য করার জন্যই আরটিআইকে দুর্বল করছে সরকার, ট্যুইট রাহুলের
Web Desk, ABP Ananda | 27 Jul 2019 09:10 PM (IST)
সোমবার তথ্যের অধিকার আইন (সংশোধনী)বিল, ২০১৯ পাশ হয়েছে লোকসভায়। রাজ্যসভায় বৃহস্পতিবার বিরোধীদের ওয়াক আউটের মধ্যেই বিলটি গৃহীত হয়েছে। তারা অভিযোগ করে, সেদিন বিলটি আরও ভাল করে পরীক্ষানিরীক্ষা, খতিয়ে দেখার জন্য সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটির সময় প্রভাব খাটাতে ‘চাপ সৃষ্টির’ কৌশল নিয়েছিল শাসক শিবির।
নয়াদিল্লি: মোদি সরকার আরটিআই আইন লঘু করছে যাতে দুর্নীতিবাজরা ভারত থেকে চুরি করতে পারে। বললেন রাহুল গাঁধী। বিরোধীদের তীব্র প্রতিবাদ, আপত্তির মধ্যেই সংসদে তথ্য জানার অধিকার আইনে সংশোধনী পাশ হয়েছে। সে ব্যাপারেই ট্যুইট কংগ্রেস নেতার। সোমবার তথ্যের অধিকার আইন (সংশোধনী)বিল, ২০১৯ পাশ হয়েছে লোকসভায়। রাজ্যসভায় বৃহস্পতিবার বিরোধীদের ওয়াক আউটের মধ্যেই বিলটি গৃহীত হয়েছে। তারা অভিযোগ করে, সেদিন বিলটি আরও ভাল করে পরীক্ষানিরীক্ষা, খতিয়ে দেখার জন্য সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটির সময় প্রভাব খাটাতে ‘চাপ সৃষ্টির’ কৌশল নিয়েছিল শাসক শিবির।