এ বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জী তৈরির কাজ চলার কথা। পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যই এ বিষয়ে আপত্তির কথা জানিয়েছে। বিরোধী দলগুলির দাবি, এটি জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর প্রথম ধাপ। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার এই দাবি অস্বীকার করেছে। এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘নতুন এনপিআর ফর্মে যে ২১টি বিষয় রয়েছে, সেগুলির বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। আলোচনার ভিত্তিতেই এই ফর্ম তৈরি করা হয়েছে। শীঘ্রই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এর আগে ২০১০ সালে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের আমলে জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জী তৈরির কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু এখন কংগ্রেসের দাবি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অতিরিক্ত অনেক তথ্য চাইছে যা এর আগেরবার বলা হয়নি। ২০১০ সালে ১৫টি প্রশ্ন রাখা হয়েছিল। ২০১৫ সালে আধার নম্বর সহ কয়কেটি প্রশ্ন যোগ করা হয়। অতিরিক্ত তথ্য কেন চাওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট জবাব দেয়নি সরকার। এনপিআর-এর সঙ্গে এনআরসি-র কোনও যোগ নেই বলেও দাবি করা হয়েছে। তবে বিরোধী দলগুলি এই দাবি মানতে নারাজ।