গত কয়েকদিন ধরে কৃষকদের আন্দোলনের জেরে উত্তাল দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্ত। আজ ভারত বনধের ডাক দেয় কৃষকদের সংগঠন। তৃণমূল, কংগ্রেস, বাম, এনসিপি, আম আদমি পার্টি, ডিএমকে, টিআরএস সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে।
কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী ট্যুইট করে এই ইস্যুতে বিজেপি-কে আক্রমণ করেছেন। তাঁর ট্যুইট, ‘ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য না পেয়ে বিহারের কৃষকরা সমস্যায়। এখন প্রধানমন্ত্রী সারা দেশকে এই কূপে ঠেলে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের সমর্থন করা আমাদের কর্তব্য। কারণ, তাঁরা সারা দেশকে খাবার দেন। মোদিজি, কৃষকদের লুঠ করা থামান। দেশের সবাই জানেন, আজ ভারত বনধ। এই বনধকে সমর্থন করে কৃষকদের বিক্ষোভকে সফল করুন।’
কৃষকদের আশঙ্কা, নতুন কৃষি আইনের ফলে তাঁদের আয় কমে যাবে এবং শিল্পপতিরা তাঁদের শোষণ করবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের অবশ্য দাবি, এই আইনের ফলে দালাল ও ফড়েদের হাত থেকে মুক্তি পাবেন কৃষকরা। তাঁরা যেখানে ইচ্ছা ফসল বিক্রি করতে পারবেন। কৃষকদের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রের পাঁচ দফা বৈঠক হয়েছে। আজও কৃষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সমধানসূত্র মেলেনি।
গত ২৬ নভেম্বর থেকে দিল্লির বুকে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। তাঁদের দাবি কেন্দ্রের তৈরি নয়া কৃষি আইন বাতিল করতে হবে। আগামীকালা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন কৃষকরা। এই নিয়ে ষষ্ঠ দফার বৈঠক হবে। তাঁর আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন আন্দোলনরত কৃষকরা।এর আগে একাধিক প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা ফিরিয়ে দিয়েছেন কৃষকরা। গত সপ্তাহে কেন্দ্র প্রস্তাব দেয়, কৃষকদের দাবি শোনার জন্য় একটি কমিটি গঠন করা হবে। কিন্তু বৈঠকে উপস্থিত কৃষক সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরা সেই প্রস্তাবে রাজি হননি। বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি।
রাজধানীতে কনকনে সেই ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে আন্দোলন করছেন পঞ্জাব, হরিয়ানা সহ উত্তর ভারতের কৃষকরা। পথে নেমেছেন হাজার হাজার কৃষক। নিজেদের অবস্থানে অনড় তাঁরা। তাঁদের সাফ কথা, কৃষক-বিরোধী কৃষি আইন বাতিল করতে হবে। কৃষকদের এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন দেশ-বিদেশের নেতারা। একইসঙ্গে পিএজিডি, সিপিআইএম, সিপিআই, আরএসপি, ডিএমকে, আরজেডি, এসপি, এআইএফবি, এনসিপি, কংগ্রেস কৃষক আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছে।