স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গোটা বিষয়টি তদন্ত করে খতিয়ে দেখে এসপিজি সুরক্ষার অধিকারী কংগ্রেস সভাপতির পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করার আবেদন করেছে দল। তারা বলেছে, রাজনৈতিক মতভেদ থাকলেও রাহুলের সুরক্ষা নিশ্চিত করা অবশ্যই সরকারের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাঁরা গোটা বিষয়টি দেখছেন। যদিও পরে সরকারের তরফে জানানো হয়, যে ‘সবুজ লেসারে’র কথা বলা হচ্ছে, সেটা কংগ্রেসেরই এক আলোকচিত্রীর মোবাইল ফোনের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অবশ্য বলেছে, কংগ্রেস সভাপতির নিরাপত্তা বিপন্ন বলে অভিযোগ তোলা কোনও চিঠি আমরা পাইনি। তবে গতকাল অমেঠিতে তাঁর দিকে সবুজ আলো নিক্ষেপ সংক্রান্ত রিপোর্টের প্রতি মন্ত্রকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এসপিজি ডিরেক্টরকে প্রকৃত তথ্য খতিয়ে দেখতে বলা হয়। তিনি মন্ত্রককে জানিয়েছেন, ঘটনার ভিডিও ক্লিপটি খুব মনোযোগ সহ দেখেছেন তাঁরা। দেখা যাচ্ছে, এআইসিসি-র যে ফটোগ্রাফার অমেঠি কালেক্টরেটের কাছে রাহুল গাঁধীর অঘোষিত সাংবাদিক সম্মেলনের ভিডিওগ্রাফি করছিলেন, ওই সবুজ আলো তাঁরই মোবাইল ফোনের। এসপিজি ডিরেক্টর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে আরও জানিয়েছেন, রাহুল গাঁধীর ব্যক্তিগত কর্মীদেরও এ ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি নিরাপত্তার সামনে কোনও বিপদ নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়, রাজনাথকে লেখা কংগ্রেসের চিঠিতে এও বলা হয়, ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে দেশের সংহতির সামনে বিপদ সন্ত্রাসবাদী শক্তির হাতে দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী ও রাজীব গাঁধীর জীবন বলিদানের কাহিনি লেখা রয়েছে, এটা আপনার জানা। একই ভাবে অমেঠিতে মনোনয়ন জমা দেওয়া রাহুল গাঁধীর নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হয়েছে।