গাঁধীনগর: রেলস্টেশনের উপর পাঁচতারা হোটেল! ভারতে এই প্রথম। গুজরাতের গাঁধীনগর স্টেশন নতুনভাবে সাজিয়ে তোলার পর তৈরি করা হয়েছে এই হোটেল। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে স্টেশনস রিডেভেলপ কর্পোরেশন গাঁধীনগর স্টেশন নতুন করে সাজিয়ে তোলা এবং হোটেল তৈরির কাজ শুরু করে। সেই কাজ শেষ হয়েছে। শুক্রবার বিকেল চারটেয় ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  


গাঁধীনগর স্টেশনের এই পাঁচতারা হোটেলে ৩১৮টি ঘর রয়েছে। একটি বেসরকারি সংস্থা এই হোটেল পরিচালনা করবে। ৭,৪০০ বর্গমিটারজুড়ে তৈরি হয়েছে হোটেলটি। এই হোটেল তৈরির জন্য খরচ হয়েছে ৭৯০ কোটি টাকা। দেশের পাশাপাশি বিদেশিদেরও থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে এই হোটেলে। পাশাপাশি মহাত্মা মন্দিরে সেমিনার ও কনফারেন্সেরও ব্যবস্থা থাকছে। এই হোটেল ভবনের উচ্চতা ৭৬.৯৯ মিটার। এটি গাঁধীনগরের অন্যতম উঁচু ভবন। এই পাঁচতারা হোটেলে তিনটি টাওয়ার রয়েছে। যার মধ্যে একটি টাওয়ারে ৯ তলা এবং বাকি দু’টি টাওয়ারে ১১ তলা রয়েছে। 


কাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি ভার্চুয়ালি থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ। গাঁধীনগরে মঞ্চে থাকবেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি।


এই হোটেল ও নতুন করে সাজিয়ে তোলা স্টেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি আমদাবাদের সায়েন্স সিটিতে নতুন তিনটি কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন। সায়েন্স সিটির এই তিনটি নতুন আকর্ষণ হল অ্যাকোয়াটিক গ্যালারি, রোবটিক গ্যালারি ও নেচার পার্ক। অ্যাকোয়াটিক গ্যালারিটি তৈরি হয়েছে ২৬৪ কোটি টাকা ব্যয় করে। এটি দেশের সবচেয়ে বড় অ্যাকোয়ারিয়াম। হাঙর সহ বিভিন্ন ধরনের জলজ প্রাণী রাখা হয়েছে এখানে। ১১,৬০০ ধরনের মাছ, ১৮৮টি প্রজাতির প্রাণী রাখা হয়েছে। মোট ৬৮টি বড় ট্যাঙ্ক রাখা হয়েছে এই অ্যাকোয়াটিক গ্যালারিতে। জলজ প্রাণীগুলিকে দেখার জন্য ২৮ মিটার লম্বা আন্ডারওয়াটার ওয়াকওয়ে টানেল দিয়ে যেতে হবে দর্শকদের। এই গ্যালারিতে ফাইভ ডি থিয়েটারও আছে। 


রোবটিক গ্যালারিতে ৭৯ ধরনের মোট ২০০ রোবট থাকছে। মানুষের মতো আকারের এবং কথা বলা রোবটও রয়েছে। এই গ্যালারি তৈরির জন্য খরচ হয়েছে ১২৭ কোটি টাকা। ১১,০০০ বর্গমিটার জুড়ে তৈরি হয়েছে এই গ্যালারি। ২০ একর জায়গাজুড়ে তৈরি হয়েছে নেচার পার্ক। এর জন্য খরচ হয়েছে ১৪ কোটি টাকা।