গুরুগ্রাম: স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার  পরও নজরদারি! স্ত্রী পেশায় চিকিৎসক। গুরুগ্রামের এই চিকিৎসকের গাড়িতে জিপিএস নির্ভর ট্র্যাকিং ডিভাইস বসিয়ে নজরদারি চালানো ও পিছু ধাওয়ার  অভিযোগে গ্রেফতার করা হল স্বামীকে। মঙ্গলবার পুলিশ সূত্রে এ কথা জানানো হয়েছে। 


জানা গিয়েছে, ওই মহিলা চিকিৎসক তাঁর গাড়িতে জিপিএস এস২০ পোর্টেবল ট্র্যাকার  দেখতে পান। গত ২৬ সেপ্টেম্বর তাঁর মোবাইল নিচে  পড়ে যায়। তা কুড়োতে গিয়েই ওই পোর্টেবল ট্র্যাকার দেখতে পান।  ওই মহিলা অভিযোগে জানিয়েছেন, আমি এক রোগীর জন্য গাড়িতে অপেক্ষা করছিলাম। আমি আমার ফোন গিয়ার বক্সের সামনে রাখতে যাচ্ছিলাম। তখনই তা পড়ে যায়। 


তিনি দাবি করেছেন, এই সময় তিনি তাঁর গাড়িতে কালো রঙের একটি বক্স দেখতে পান।  ওই চিকিৎসক বলেছেন, এই বক্স দেখে আমি খুবই অবাক হয়ে যাই। কারণ, এ ধরনের কোনও বক্স আমি আমার গাড়িতে বসাইনি। কৌতুহলবশে আমি বক্সটি বের করে দেখি এবং বুঝতে পারি এটি একটি পোর্টেবল ট্র্যাকার। 


অভিযোগকারিনী চিকিৎসক বলেছেন, তিনি ওই ডিভাইসের ছবি তাঁর ভাইকে পাঠান। তা দেখে তাঁর ভাই ওই ডিভাইস ওপেন করতে তাঁকে সাহায্য করেন। তিনি বলেছেন, আমি ডিভাইসের মধ্যে একটি সিমকার্ড দেখতে পাই। তখন মনে হয় যে, আমার গতিবিধি ও কোথায় রয়েছে তা রেকর্ড করা হয়েছে এবং তা অন্য কোনও ডিভাইসে পাঠানো হয়েছে।
এভাবে তাঁর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই চিকিৎসক। 


পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে ওই চিকিৎসক বলেছেন, তাঁর স্বামীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। সেই স্বামীই তাঁর গাড়ির সাফাই কর্মীর সঙ্গে ছক কষে ওই ডিভাইস গাড়িতে ইনস্টল করেছেন। কারণ, ওই সাফাই কর্মী গাড়ির চাবি হাতে পেতেন। 


পুলিশ জানিয়েছে, এই দম্পতির মধ্যে আইনি লড়াই চলছে। চিকিৎসকের অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ডি ( পিছু ধাওয়া), ৩৫৪ সি (অশ্লীল উদ্দেশ্য), ৫০৬ ( হুমকি) এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৬ ধারায় সেক্টর ৫৬ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।


সেক্টর ৫৬ থানার স্টেশন হাউস অফিসার অমিত কুমার জানিয়েছেন, আমরা পুরো ঘটনার তদন্ত করছি। জানার চেষ্টা করা হচ্ছে, ওই ট্র্যাকার ডিভাইস গাড়িতে কে লাগিয়েছিল। কার নির্দেশে  ও কোন উদ্দেশে তা ইনস্টল করা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।