নয়াদিল্লি: আজ ‘ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে’। প্রতি বছর ২৯ সেপ্টেম্বর এই দিনটি পালন করে ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশন। হৃদরোগ, স্ট্রোকের বিষয়ে সচেতনতা প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয় এই দিনে।


১৯৯৯ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে পালন করার কথা ঘোষণা করে ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশন। সেই সময় ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন অ্যান্টনি বেয়িস ডে লুনা। তিনিই এই দিনটি পালন করার উদ্যোগ নেন। ২০০০ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর প্রথমবার ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে পালন করা হয়। ২০১১ পর্যন্ত সেপ্টেম্বরের শেষ রবিবার দিনটি পালন করা হত। তারপর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বরই দিনটি পালন করা হয়।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্বে মৃত্যুর অন্যতম কারণ হৃদরোগ ও স্ট্রোক। প্রতি বছর এই রোগে মৃত্যু হয় ১৮.৬ মিলিয়ন ব্যক্তির। ২০১২ সালের মে মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রধানরা সিদ্ধান্ত নেন, ২০২৫-এর মধ্যে হৃদরোগে মৃত্যু ২৫ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যে কাজ করা হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য সারা বিশ্বের মানুষের মৌলিক অধিকার হওয়া উচিত।


কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজের ফলে হৃদযন্ত্র, শরীরে রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধূমপান, উচ্চ রক্তচাপ, স্থুলতা, খাদ্যাভ্যাস, বায়ুদূষণের কারণে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ হতে পারে। হাইপারটেনশন ও হাই ব্লাড কোলেসটরলের ফলেও হৃদযন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ে। সারা বিশ্বে ৫২০ মিলিয়ন ব্যক্তি কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজে আক্রান্ত। তাঁদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও খুব বেশি। এই কারণে এবারের ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


এবারের ওয়ার্ল্ড ডে-র থিম ‘হৃদয় দিয়ে সংযোগ’। করোনা অতিমারীর কারণেই এই থিম বেছে নেওয়া হয়েছে। অনেকেই করোনা পরিস্থিতিতে প্রিয়জনদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই হৃদয়ের মাধ্যমে সংযোগ গড়ে তোলার কথা বলা হচ্ছে। এবারের ওয়ার্ল্ড হার্ট ডে-র প্রাথমিক লক্ষ্য কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজের বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা, এই রোগ প্রতিরোধ এবং বিশ্বজুড়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা গড়ে তোলা।