গুরুগ্রাম: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুধু সাধারণ মানুষেরই হচ্ছে না, আক্রান্তদের সেবা করছেন যে চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীরা, তাঁদের বিপদের আশঙ্কা যথেষ্ট। সেই আশঙ্কা সত্যি করেই গুরুগ্রামে আক্রান্ত হলেন এক মহিলা চিকিৎসক। তিনি একটি হাসপাতালের পরীক্ষাগারের দায়িত্ব ছিলেন। যাঁদের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা যাচ্ছে, তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে ওই পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছিল। কিন্তু সেই কাজ করতে গিয়ে ওই চিকিৎসকই এবার আক্রান্ত হলেন। তবে তাঁর আট মাসের সন্তান ও স্বামী সংক্রামিত হননি।


এই ঘটনার জেরে চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের সুরক্ষার উপর আরও জোর দিচ্ছে হরিয়ানার স্বাস্থ্য দফতর। হাসপাতালের কর্মী ও চিকিৎসকরা যাতে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের পরীক্ষা করার সময় নিজেদের সুরক্ষার জন্য যথাযথ সরঞ্জাম ব্যবহার করেন এবং সবসময় অন্যদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখেন, সেটা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহের পদ্ধতিতেও বদল আনা হচ্ছে।

ওই হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, ‘যে মহিলা চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি ইএনটি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করতেন এবং নমুনা সংগ্রহ করে সেগুলি পরীক্ষার জন্য পাঠাতেন। তিনি কোনওভাবে সংক্রামিত হয়েছেন। তবে তাঁর পরিবারের লোকজনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়ায়নি।’

চিফ মেডিক্যাল অফিসার যশববন্ত সিংহ পুনিয়া জানিয়েছেন, ‘যে চিকিৎসকরা হেল্প ডেস্ক বা পরীক্ষাগারে কাজ করছেন, তাঁদের কাছাকাছি কাউকে যেতে দিচ্ছি না আমরা। হেল্প ডেস্কের আশেপাশে যাতে বেশি লোক না থাকতে পারেন, সেটাও দেখা হচ্ছে। যাঁদের শরীরে উপসর্গ দেখা যাচ্ছে, শুধু তাঁদেরই এক একজন করে নমুনা সংগ্রহের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেই সময় অন্য কাউকে সেখানে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। চিকিৎসকরা যাতে নিজেদের সুরক্ষার জন্য মাস্ক, গ্লাভস সহ সব ধরনের উপযুক্ত সরঞ্জাম ব্যবহার করেন,সেটাও নিশ্চিত করা হচ্ছে। করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছেন, এমন ১০ চিকিৎসকের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে তাঁরাও আক্রান্ত হয়েছেন না সুস্থ আছেন।’

হরিয়ানায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ এর মধ্যে গুরুগ্রামে আক্রান্ত ১০। পানিপথের দু’জন এবং ফরিদাবাদ, পাঁচকুলা, পালওয়াল ও সোনিপথ থেকে একজন করে আক্রান্ত হয়েছেন। আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিন সেন্টারের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব রাজীব অরোরা।