নয়াদিল্লি: লোকপাল কার্যকর হলে রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই এক নম্বর অভিযুক্ত হতেন বলে দাবি করলেন কংগ্রেস নেতা বীরাপ্পা মইলি। আজ লোকসভায় তিনি বলেন, ‘রাফাল চুক্তিতে যদি কাউকে দায়ী করতে হয়, তাহলে সেটা একমাত্র প্রধানমন্ত্রী। রাফাল কেলেঙ্কারির কথা ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। মোদি আজ হয়তো তাঁর দায় এড়িয়ে যেতে পারছেন, তবে ভবিষ্যতে পারবেন না। লোকপাল কেন কার্যকর হয়নি, সেটা এখন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। যদি লোকপাল কার্যকর হত, তাহলে মোদি এক নম্বর অভিযুক্ত হতেন। দুর্নীতির অভিযোগের বুলেট যখন আঘাত করবে, ৫৬ ইঞ্চি ছাতিও সেটা সহ্য করতে পারবে না।’


বাজেট অধিবেশনের শুরুতে সংসদের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের পরিপ্রেক্ষিতে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে গিয়ে রাফাল নিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন মোদি। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস আমলে ঘুষ ছাড়া প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কোনও চুক্তি হয়নি। এরই পাল্টা আজ রাফাল নিয়ে মোদিকে আক্রমণ করেন মইলি। তিনি বেকারত্ব বৃদ্ধি নিয়েও সরকারের সমালোচনা করেন। সরকার মহিলা, কৃষকদের সমস্যার দিকেও নজর দেয়নি বলে দাবি মইলির।

পাশাপাশি, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীও ফের রাফাল নিয়ে মোদিকে আক্রমণ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, অনিল অম্বানিকে এই যুদ্ধবিমান চুক্তিতে ৩০ হাজার কোটি টাকা চুরি করার জন্য দরজা খুলে দিয়েছেন ‘চৌকিদার’।

প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমও রাফাল চুক্তি নিয়ে মোদিকে আক্রমণ করেছেন। তাঁর দাবি, রাফাল চুক্তিতে একের পর এক অনিয়ম প্রকাশ্যে আসছে। একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে কংগ্রেস নেতা রণদীপ সূরজেওয়ালাও রাফাল নিয়ে মোদিকে তোপ দেগেছেন।

বহুজন সমাজ পার্টি নেত্রী মায়াবতীও রাফাল নিয়ে মোদিকে আক্রমণ করেছেন। তাঁর ট্যুইট, ‘প্রতিরক্ষা চুক্তিতে দুর্নীতি হয়েছে। কোনও সমস্যা নেই! বিজেপি/আরএসএসের কাছে চৌকিদার গুরুত্বপূর্ণ, তাঁর সততা নয়? চৌকিদারের জন্য দুর্নীতি, সততা, জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করা যায় এবং সবকিছুকে উপেক্ষা করা যায়।’