বিশাখাপত্তনম: বুধবার শেষরাতে বিশাখাপত্তনমের আর আর ভেঙ্কটপুরমের গোপালপত্তনমের বন্ধ এলজি পলিমার ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের দৈত্যাকার দুটি ট্যাঙ্ক থেকে স্টাইরিন গ্যাস লিক হওয়ার পর এর ক্ষতিকারক প্রভাবে গ্রামবাসীরা অচেতন হয়ে পড়েন। তাঁদের বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। এমনই জানিয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের ডিজিপি গৌতম সাওয়াং। তিনি আরও জানিয়েছেন, যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে দু’জন সংজ্ঞা হারিয়ে কুয়োয় পড়ে যান।


দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সংস্থার মালিকাধীন এলজি পলিমার্স ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের দুটি ট্যাঙ্ক থেকে স্টাইরিন গ্যাল লিক হয়। অচেতন হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন বহু মানুষ। অসুস্থদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে।

বিশাখাপত্তনমের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার স্বরূপ রানি জানিয়েছেন, ‘লকডাউনের জেরেই ওই কারখানায় গ্যাস মজুত করে রাখা ছিল। তার ফলেই রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া হয়। ট্যাঙ্কের মধ্যে তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যায়। সাড়ে তিনটে নাগাদ গ্রামবাসীরা ফোন করে গ্যাস লিকের খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু বিষাক্ত গ্যাসের হাত থেকে বাঁচার জন্য তাঁদের ফিরে আসতে হয়। সেখানে কয়েক মিনিটের বেশি দাঁড়িয়ে থাকা যাচ্ছিল না।’

অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সচিব পি রমেশ জানিয়েছেন, ‘গভীর রাতে পলিমার প্ল্যান্ট ফের চালু করার চেষ্টা হতেই এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে। দিনের বেলা এই কারখানায় কাজ শুরু করা যেতে পারত। তাহলে মানুষ সচেতন থাকতেন এবং অন্যত্র সরে যেতে পারতেন।’