নয়াদিল্লি: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাজিব আহমেদের নিখোঁজ মামলায় ক্লোজার রিপোর্ট জমা দিতে সিবিআই-কে অনুমতি দিল দিল্লি হাইকোর্ট। দু বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিখোঁজ হয়ে যান নাজিব। এক্ষেত্রে হাইকোর্ট নাজিবের মা ফতিমা নাফিসের আর্জি ‘নাকচ’ করে দিয়েছে। তিনি মামলার তদন্তের দায়িত্ব থেকে সিবিআই-কে সরিয়ে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে তদন্ত প্রক্রিয়ায় পর্যবেক্ষণের আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই আর্জিতে সাড়া দিল না বিচারপতি এস মুরলিধর ও বিনোদ গোয়েলকে নিয়ে গঠিত দিল্লি হাইকোর্টের বেঞ্চ।
২০১৬-র নভেম্বরে নাফিস তাঁর সন্তানের হদিশ করতে পুলিশকে নির্দেশ দানের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই আর্জি খারিজ করে বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘নাফিস তাঁর যে সমস্ত যুক্তি রয়েছে তা নিম্ন আদালতে উত্থাপন করতে পারেন’।
এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছিল আদালত।
গত বছরের ১৬ মে সিবিআই মামলার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল। কিন্তু তদন্তের এক বছর পর সিবিআই জানায়, এই মামলার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হয়েছে এবং নিখোঁজ ছাত্রর বিরুদ্ধে কোনও অপরাধ সংঘটিত হয়নি বলে মত প্রকাশ করেছে।
২০১৬-র ১৫ অক্টোবর জেএনইউ-র মাহি-মান্ডবি হোস্টেল থেকে নিখোঁজ হয়ে যান নাজিব।এর আগের দিন রাতে এবিভিপি-র সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন পড়ুয়ার সঙ্গে তাঁর মারপিট হয় বলে অভিযোগ।
নাফিসের আইনজীবী আদালতে বলেন যে, এটি একটি ‘রাজনৈতিক মামলা’ এবং এ কারণেই ‘সিবিআই তার প্রভুদের কাছে আত্মসমর্পন’ করেছে।
সিবিআইয়ের আগে দিল্লি পুলিশ নিখোঁজ হওয়ার সাত মাস পরেও মামলার কোনও কিনারা করতে পারেনি। এরপর মামলার তদন্তভার গত বছর সিবিআইতে দেওয়া হয়। দিল্লি পুলিশ সিবিআই-এর হাতে মামলা তুলে দেওয়ার বিরোধিতা করেনি।
নাফিসের আইনজীবী এর আগে বলেছিলেন, নাজিবের নিগ্রহের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ১৮ জন পড়ুয়ার দায়ের করা মামলায় ৯ ছাত্রের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।
অভিযোগে যে পড়ুয়াদের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল তাঁরা তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।