নয়াদিল্লি: প্রবল বৃষ্টিতে দিল্লিতে আটকে পড়ল সরকারি বাস। দমকল ডেকে উদ্ধার যাত্রীদের। আজ সকাল থেকেই রাজধানীতে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। মিন্টো রোড সেতুর আন্ডারপাসে আটকে পড়ে দিল্লি পরিবহণ নিগমের একটি বাস। যাত্রীদের উদ্ধারের জন্য ডাকতে হয় দমকলকে। শেষপর্যন্ত বাসের ছাদের অংশ খুলে বের করা হয় আটকে পড়া যাত্রীদের।

অন্যদিকে, মিন্টো ব্রিজের নীচে জলে গাড়ি ডুবে যাওয়ায় সেই গাড়ির মধ্যে থাকা ৫৬ বছর বয়সি এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। মৃত ব্যক্তির নাম কুন্দন কুমার। তিনি উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়ের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, তিনি একটি গাড়ি চালিয়ে নয়াদিল্লি রেলস্টেশন থেকে কনট প্লেসের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় জলে আটকে পড়ে গাড়িটি। সেই গাড়ি থেকে বেরোতে না পেরেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ে বর্তমান।

গতকাল রাত থেকেই দিল্লিতে বৃষ্টি শুরু হয়। রাতভর বৃষ্টিতে অনেক জায়গাই জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। মিন্টো রোডে একটি বাস জলে আটকে পড়ার খবর পেয়েই উদ্ধারকার্যে নামেন দমকল কর্মীরা। ওই বাসের চালক ও কন্ডাক্টরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। কিন্তু কুন্দনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তাঁর দেহ যখন জলের বাইরে আনা হয়, তখন আর প্রাণ নেই।

দিল্লিতে আজও বৃষ্টি হয়। তার ফলে বিভিন্ন জায়গায় জলে আটকে পড়ে গাড়ি। প্রবল যানজট তৈরি হয়। দমকল বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মিন্টো রোড আন্ডারপাসে জল জমে গিয়েছে। মিন্টো ব্রিজের নীচে দু’টি অটো রিকশাও আটকে পড়ে। তিন ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে।

দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ শিশোদিয়া জানিয়েছেন, ‘পূর্ত দফতর, দিল্লি জল বোর্ড, দিল্লি পুরসভা ও বন্যা মোকাবিলা দফতর একযোগে কাজ করছে। আমাদের অনেক আধিকারিকই এখন করোনা মোকাবিলায় কাজ করছেন। তা সত্ত্বেও বৃষ্টির সময় আমাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজে পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন।’