নয়াদিল্লি: মহারাষ্ট্রের পর ঝাড়খণ্ড। চলতি বছরে পঞ্চম রাজ্যে থমকালো বিজেপির বিজয় রথ। হারলেন মুখ্যমন্ত্রীও। সরকার গঠনের পথে কংগ্রেস জোট। বৃহত্তম দল জেএমএম। আগামী ২৭ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিচ্ছেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার কার্যনির্বাহী সভাপতি হেমন্ত সোরেন।  প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও আদিবাসী নেতা শিবু সোরেনের ছেলে হেমন্তকে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার করেই নির্বাচনে জোট বেধে লড়েছিল জেএমএম, কংগ্রেস ও আরএলডি।
আপাতত সরকার গঠনের তৎপরতা তুঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবিদার নিয়ে কোনও টানাপড়েন নেই।
এবার ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে ৮১ আসনের মধ্যে বিজেপির ঝুলিতে ২৫। গত বারের থেকে ১২টি কম। বিজেপির বিদ্রোহী নেতা নির্দল প্রার্থী সরযূ রাইয়ের কাছে হেরেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস।
ঝাড়খন্ডে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা-কংগ্রেস-আরজেজি জোটের দখলে ৪৭টি আসন। তার মধ্যে হেমন্তের দলই পেয়েছে ৩০ টি। কংগ্রেসের আসন সংখ্যা ১৬, আরজেডি - ১।
ঝাড়খণ্ডে বিজেপির ভরাডুবির দায় নিজের কাঁধে নিয়েছেন রঘুবর। সাংবাদিক বৈঠক ডেকে হার স্বীকার করেন রঘুবর। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এটা আমার হার, বিজেপির নয়।’’
যদিও এবার নির্বাচনের আগে রাজ্যে বহুবার সভা করতে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ। তারপরেও দলের এই হারের দায়িত্ব নিজেই নিয়েছেন রঘুবর।
পাঁচ দফার ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচন শুরু হয় গত ৩০ নভেম্বর। শেষ হয় ২০ ডিসেম্বর। এরই মধ্যে পাশ হয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। দেশজুড়ে চলছে সিএএ ও এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভ। তার মধ্যেই এল এই ফল।
কংগ্রেস-জেএমএম-আরজেডিকে অভিনন্দন জানিয়ে ট্যুইট করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাল্টা ধন্যবাদ জানিয়েছেন হেমন্ত সোরেন।