কলকাতা: করোনা ভাইরাস ও লকডাউনের জেরে মাঝপথে স্থগিত হয়ে যায় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। আজ বাকি পরীক্ষাগুলির দিন ঘোষণা করা হল।  পরীক্ষা হবে ২৯ জুন, ২ জুলাই এবং ৬ জুলাই। মাস্ক পরে আসতে হবে পরীক্ষার্থীদের। সঙ্গে রাখতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে একটি বেঞ্চ ছেড়ে পরীক্ষার্থীদের বসানো হবে, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।


শুধু উচ্চমাধ্যমিকই নয়, করোনার জেরে মাঝপথে থমকে যায় আরও অনেক পরীক্ষা। সোমবার দশম ও দ্বাদশের বাকি পরীক্ষার নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে সিবিএসই। দশমের পরীক্ষা হবে শুধুমাত্র উত্তরপূর্ব দিল্লিতে। সিবিএসই-র পরীক্ষা হবে পয়লা থেকে ১৫ জুলাই। এবার উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষারও নির্ঘণ্ট ঘোষণা করল  রাজ্য সরকার।

করোনা আবহে, একদম শেষের দিকে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। ২১ মার্চের পর আর পরীক্ষা হয়নি। স্থগিত হয়ে যায় ২৩, ২৫ ও ২৭ মার্চের একাধিক পরীক্ষা। যে বিষয়গুলির পরীক্ষা হয়নি সেগুলি হল, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, নিউট্রিশন, অ্যাকাউন্টেন্সি, অর্থনীতি, এডুকেশন, জার্নালিজম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন, সংস্কৃত, পার্সিয়ান, আরবিক, ফ্রেঞ্চ, স্ট্যাটিস্টিক্স, ভূগোল, কস্টিং অ্যান্ড ট্যাক্সেশন ও হোম ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ফ্যামিলি রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট। অবশেষে সেই সমস্ত পরীক্ষার দিন ঘোষণা করা হল।

সরকারি সূত্রে খবর, উচ্চমাধ্যমিকের বাকি তিন দিনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা যথাক্রমে ২ লক্ষ ৭ হাজার, ২ লক্ষ ৪৪ হাজার এবং ২ লক্ষ ১৬ হাজার। দু’একদিনের মধ্যে চূড়ান্ত রুটিন ঘোষণা করবে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। করোনা আবহে সিবিএসই-র মতোই স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসতে হবে পরীক্ষায়। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সংক্রমণ এড়ানোর জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে একটি বেঞ্চ ছেড়ে পরীক্ষার্থীদের বসানো হবে। মাস্ক পরে পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।

আপাতত ১০ জুন পর্যন্ত রাজ্যে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ। সরকারি সূত্রে খবর, শুধু উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে নয়, স্কুল  খোলার পর পড়ুয়াদেরও মাস্ক পরা, ঘনঘন হ্যান্ড স্যানিটাইজ করা, ক্লাসরুম জীবাণুমুক্ত করার প্রক্রিয়া জারি থাকবে।