নয়াদিল্লি: আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ভারতের অন্যতম বীর সম্রাট পৃথ্বীরাজ চৌহানের জন্মজয়ন্তী। এই রাজপুত সম্রাটের বিষয়ে খুব বেশি প্রামাণ্য তথ্য লিপিবদ্ধ নেই। মুখে মুখে তাঁর বীরত্ব সম্পর্কে যে কাহিনী জানা যায়, সেগুলি ছাড়া রয়েছে  ‘পৃথ্বীরাজা বিজয়’ ও ‘পৃথ্বীরাজ রসো’-এর মতো কবিতা। যা তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তার ভিত্তিতে দেখুন এই সম্রাটের জীবনের ১০টি উল্লেখযোগ্য ঘটনা-


১. পৃথ্বীরাজ চৌহানের জন্মের বছর ও তারিখ সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি। ‘পৃথ্বীরাজা বিজয়’ অনুসারে, জৈষ্ঠ মাসের ১২ তারিখে তাঁর জন্ম হয়। জন্মের বছর ১১৬৬।

২. পৃথ্বীরাজ চৌহানের জীবনী অনুসারে, তিনি ইতিহাস, অঙ্ক, দর্শন ও চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করেন। যুদ্ধে বিশেষ দক্ষতা থাকলেও, চিত্রকলার মতো শিল্পের বিষয়েও তাঁর সমান আগ্রহ ছিল। ধনুর্বিদ্যায় তিনি অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন।

৩. ‘পৃথ্বীরাজা বিজয়’ অনুসারে, সম্রাট ৬টি ভাষা জানতেন। তবে ‘পৃথ্বীরাজ রসো’ অনুসারে, তিনি ১৪টি ভাষা শিখেছিলেন।

৪. তুতো ভাই নাগার্জুনের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান দমন করে এবং গুড়াপুরা (বর্তমানে গুরুগ্রাম) পুনর্দখল করে যুদ্ধে প্রথমবার নিজের দক্ষতার পরিচয় দেন পৃথ্বীরাজ চৌহান।

৫. উত্তর-পশ্চিম ভারত নিজের দখলে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন পৃথ্বীরাজ চৌহান। তিনি প্রাচীন ভারতের শেষ হিন্দু সম্রাটদের অন্যতম।

৬. রাজস্থান, দিল্লি, হরিয়ানা, পঞ্জাবের কিছু অংশ, উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিলেন পৃথ্বীরাজ চৌহান।

৭. জীবনের শুরুতে যুদ্ধে চান্দেলার রাজা পরমর্দিকে হারিয়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পান পৃথ্বীরাজ চৌহান। তিনি দীর্ঘ লড়াইয়ের পর জেজাকাভুক্তি (বর্তমানে বুন্দেলখণ্ড) পুনর্দখল করেন।

৮. মহম্মদ ঘোরির বিরুদ্ধে লড়াই-ই পৃথ্বীরাজ চৌহানের জীবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা।

৯. তরাইনের প্রথম যুদ্ধে মহম্মদ ঘোরিকে হারিয়ে দেন পৃথ্বীরাজ চৌহান।

১০. তবে তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে হেরে যান পৃথ্বীরাজ চৌহান। তাঁর এই পরাজয়ই ভারতে মুসলিম শাসনের পথ প্রশস্ত করে দেয় বলে মত ঐতিহাসিকদের।