উনা: হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) উনা জেলায় (Una District) একটি বাজি কারখানায় (Firecracker factory) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে (Fire) অন্তত সাতজনের মৃত্যু হল। তাঁদের মধ্যে ৬ জনই মহিলা বলে জানা গিয়েছে। এই দুর্ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহতদের বেশিরভাগই মহিলা বলে জানা গিয়েছে।


এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর (PMO) থেকে ট্যুইট করে শোকপ্রকাশ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister narendra Modi) বলেছেন, ‘হিমাচল প্রদেশের উনায় একটি কারখানায় দুর্ঘটনা দুঃখজনক খবর। এই দুর্ঘটনায় যাঁদের প্রাণ গিয়েছে, তাঁদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি। এই দুর্ঘটনায় যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’ 


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আজ সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ওই বাজি কারখানা থেকে প্রথমে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়, তারপরেই দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সেই সময় কারখানাটিতে কাজ করছিলেন ১০-১৫ জন মহিলা। তাঁরা প্রত্যেকেই আগুনের কবলে পড়েন। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মৃত ব্যক্তিদের দেহ শনাক্ত করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।


দুর্ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ ও দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশকর্মীরা কারখানাটি ঘিরে রেখেছেন। শেষ খবর অনুযায়ী দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছেন।







প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, যেহেতু বাজি কারখানা, তাই প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত ছিল। তারই কোনও একটিতে অসাবধানতাবশত আগুন লেগে যায়। এরপরেই বিস্ফোরণ ঘটে এবং গোটা কারখানায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই বাজি কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে।


সূত্রের খবর, একটি বাড়ির অংশ ভাড়া নিয়ে বেআইনিভাবে বাজি কারখানাটি চালানো হচ্ছিল। বাজি কারখানা চালানোর জন্য যে ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন, এই কারখানায় সেসব কিছুই ছিল না। এমনকী, বাজি কারখানা চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় লাইসেন্সও ছিল না। কারখানাটিতে যাঁরা কাজ করছিলেন, তাঁদের অধিকাংশই পরিযায়ী শ্রমিক। প্রশাসনের দৃষ্টি এড়িয়ে কীভাবে এই কারখানা চলছিল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।