কলকাতা: করোনায় রাজ্যে কিছু কিছু জায়গায় গোষ্ঠী সংক্রমণ হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর বললেন স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এখন থেকে সপ্তাহে ২ দিন করে রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন হবে। অগাস্ট পর্যন্ত চলবে এই নিয়ম।


সোমবার বিকেলে একটি সাংবাদিক বৈঠকে আলাপন বলেন, ‘বিভিন্ন স্তরের বিজ্ঞানী, বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে আলোচনা করে ধারণা করা হচ্ছে যে, রাজ্যের কিছু কিছু জায়গায় গোষ্ঠী সংক্রমণ হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘চলতি সপ্তাহে বৃহস্পতি ও শনিবার সম্পূর্ণ লকডাউন। পরের সপ্তাহে আপাতত বুধবার সম্পূর্ণ লকডাউন হবে। সোমবার বৈঠকে আরেকদিন নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’

চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার এবিপি আনন্দকে বলেছেন, ‘কিছু কিছু এলাকায় গোষ্ঠী সংক্রমণ হচ্ছে। যদিও সারা দেশে সেটা হচ্ছে বলা যায় না। তবে আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে এটা জোরাল ধাক্কা দিয়েছে। খুব কৌশলগতভাবে লকডাউন করা হয়েছে। বৃহস্পতি, শনিবারের পর আগামী সপ্তাহে বুধবার লকডাউন। মাঝে রবিবার রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় দিন পাঁচেকের লকডাউন। এতে সংক্রমণের হার কমবে বলেই আমাদের ধারণা। এতে চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর চাপ কমবে।’ করোনা আক্রান্তের সংক্রমণের উৎস খুঁজে পাওয়া গেলে এবং আক্রান্ত বাইরে থেকে না এলে ধরে নেওয়া হয় সেখানে গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে।

এর আগে কেরল সরকার স্বীকার করে নিয়েছিল যে, করোনায় গোষ্ঠী সংক্রমণ হচ্ছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার কখনওই তা মানতে চায়নি। গোষ্ঠী নয়, স্থানীয় সংক্রমণ হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। তারা অস্বীকার করলেও ভারতে বেশ কিছুদিন ধরেই গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলে সতর্ক করেছিলেন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)-এর হাসপাতাল বোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে মোঙ্গা। তবে সোমবার তাদের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয় যে, হাসপাতাল বোর্ডের চেয়ারম্যানের মত ব্যক্তিগত। দায় এড়িয়ে গিয়েছে আইএমএ।