নয়াদিল্লি: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর প্রয়াণে শোকের ছায়া দেশে। এনডিএ সরকার, শাসক দল সহ বিরোধী রাজনৈতিক মহলেও বাজপেয়ীর মৃত্যুর খবরে বিষাদের পরিবেশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাজপেয়ীর জীবনাবসানের কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। নানা আবেগের স্রোত ঢেউ তুলছে আমার ভিতরে। একটা যুগের অবসান হল ওনার চলে যাওয়ায়। উনি বেঁচেছিলেন দেশের জন্য, দশকের পর দশক নিষ্ঠা ভরে দেশসেবা করে গিয়েছেন। অটলজীর দৃষ্টান্তমূলক নেতৃত্বই ২১ শতকের সমৃদ্ধ ও সার্বিক ভারতের ভিত গড়ে দিয়েছে, বলেও অভিমত জানিয়েছেন মোদী।



তিনি ট্যুইট করেছেন, অটলজীর প্রয়াণ আমার কাছে ব্যক্তিগত ক্ষতি যা পূরণ হওয়ার নয়। ওনার সঙ্গে অসংখ্য সুখস্মৃতি আছে আমার। আমার মতো কার্য্যকর্তাদের কাছে উনি ছিলেন অনুপ্রেরণা। বিশেষ করে ওনার তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও অসাধারণ রসবোধ মনে রাখব। নানা ক্ষেত্রে ওনার ভবিষ্যতমুখী নীতি ভারতের প্রত্যেকটি নাগরিকের জীবনকে ছুঁয়ে গিয়েছে।



বাজপেয়ীর সহনশীলতা, সংগ্রামের ফলেই বিজেপি তিলে তিলে গড়ে উঠেছে বলেও জানিয়েছেন মোদী। লিখেছেন, উনি ভারতের কোণে কোণে গিয়েছেন বিজেপির বার্তা ছড়িয়ে দিতে, যার জেরে বিজেপি আমাদের জাতীয় রাজনীতিতে ও একাধিক রাজ্যে দারুণ শক্তিশালী পক্ষ হয়ে উঠেছে। এই দুঃখের সময়ে ওনার পরিবার, বিজেপি কার্য্যকর্তা ও অসংখ্য অনুগামীর প্রতি রইল সমবেদনা।




গতকাল রাত থেকে বেশ কয়েকবার এইমসে গিয়ে বাজপেয়ীর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর করেছেন প্রধানমন্ত্রী।




ভারত তার মহান সন্তানকে হারাল, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীকে অগনিত মানুষ ভালবাসতেন, শ্রদ্ধা করতেন। বললেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী।




তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আজ দুপুরে নয়াদিল্লি চলে আসেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করে তিনি ট্যুইট করেছেন, এক বিরাট মাপের মানুষ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আর আমাদের মধ্যে নেই। খুবই মর্মাহত আমি। ওনার চলে যাওয়া আমাদের দেশের কাছে এক বিরাট ক্ষতি। ওনাকে ঘিরে নানা স্মৃতি, কথা সবসময় মনে থাকবে আমার। ওনার পরিবার ও অসংখ্য গুণমুগ্ধতে আমার শোক, সমবেদনা জানাই।



বাজপেয়ীর এনডিএ সরকারে রেলমন্ত্রকের ভার সামলেছেন মমতা।