বিদেশে ভারতীয়দের অবৈধ সম্পত্তির বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযানে আয়কর দফতর
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 22 Oct 2018 09:36 PM (IST)
চলতি অর্থবর্ষ শেষ হতে আর মাত্র ১০ দিন বাকি। ১ এপ্রিল থেকে চালু হবে নতুন আর্থিক বছর। নতুন অর্থবর্ষ শুরু হতেই আপনার আয়করের সঙ্গে জড়িত একাধিক নিয়ম বদলে যাচ্ছে। এই পরিবর্তনগুলির সঙ্গে অবগত হওয়া আপনার অত্যন্ত জরুরি। কারণ, এর সরাসরি প্রভাব আপনার ওপর পড়বে। জেনে নিন আপনার জন্য কোন নিয়মে বদল আসছে...
নয়াদিল্লি: বিদেশে ভারতীয়দের অবৈধ অর্থ জমা রাখা এবং সম্পত্তিতে অর্থ খাটানোর মামলার তন্তে বড়সড় অভিযান শুরু করেছে আয়কর দফতর। এক্ষেত্রে বিভিন্ন মামলায় কঠোর ফৌজদারি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নতুন কালো টাকা বিরোধী আইন প্রয়োগ করা হতে পারে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ‘হাজার হাজার ভারতীয়’র বিদেশি ব্যাঙ্কে টাকা রাখা এবং সম্পত্তি ক্রয় নিয়ে বিদেশের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির সঙ্গে সমন্বয় রেখে তদন্ত চালাচ্ছে আয়কর দফতর। সিবিডিটি চেয়ারম্যান সুশীল চন্দ্র এই খবর সঠিক বলে জানিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। আধিকারিকরা অবশ্য জানিয়েছেন, ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (এফআইইউ) ও অন্যান্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত বিদেশে আর্থিক লেনদেন বিস্তারিত গুরুত্বপূর্ণ লেনদেনের নথিকে হাতিয়ার করে আয়কর আধিকারিকরা এ ধরনের মামলাগুলির ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশে কাজ চালাচ্ছেন। তাঁরা এই অভিযানকে কালো টাকার বিরুদ্ধে ‘সংগঠিত’ ব্যবস্থার অঙ্গ হিসেবে অভিহিত করেছেন। বেশ কিছু মামলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যক্তির বা অন্যান্য ক্ষেত্রের করদাতাদের তাঁদের লেনদেন সম্পর্কে ব্যাখ্যা চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলেও আধিকারিকরা জানিয়েছেন। বেশ কয়েকটি মামলার ক্ষেত্রে হাইপ্রোফাইল ও নামী লোকজন জড়িয়ে রয়েছেন। এছাড়াও অনেক উচ্চ আয়ের ব্যক্তিও তদন্তের আওতায় রয়েছেন। যে সব ক্ষেত্রে আইকর রিটার্নে যে সব মামলা ধরা পড়েনি বা যাঁরা করফাঁকির উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, এমন মামলার ক্ষেত্রে কালো টাকা বিরোধী আইন প্রয়োগ করা হবে। ২০১৫-তে এই আইন এনেছে সরকার। বিদেশী অবৈধ সম্পদ মামলার জন্য এই আইন প্রযোজ্য হবে। নতুন আইনে হিসাব বহির্ভূত বিদেশি সম্পত্তি ও আয়ের ক্ষেত্রে ১২০ শতাংশ কর ও জরিমানার পাশাপাশি ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডেরও সংস্থান রয়েছে।