নয়াদিল্লি: ফের ভারতের বায়ুসেনার ঘাঁটিগুলিতে আত্মঘাতী জঙ্গি-হামলার আশঙ্কা। যার জেরে পঠানকোট সহ দেশের একাধিক ঘাঁটিগুলিতে ‘কমলা-সতর্কতা’ জারি করেছে বায়ুসেনা।
কেন্দ্রীয় সূত্রের দাবি, গোয়েন্দা সংস্থাগুলি তাদের রিপোর্টে সতর্কতা জারি করে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, ৮-১০ জন জয়েশ-ই-মহম্মদ জঙ্গির একটি মডিউল জম্মু ও কাশ্মীর ও তার সংলগ্ন অঞ্চলে বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলিতে ছোট দলে ভাগ হয়ে শ্রমিকের ছদ্মবেশে আত্মঘাতী হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা গোয়েন্দাদের। এর জেরে শ্রীনগর, অবন্তীপুর, জম্মু পঠানকোট ও হিন্ডন বায়ু-ঘাঁটিগুলিতে ‘কমলা-সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ‘কমলা-সতর্কতা’ হল ‘লাল-সতর্কতা’-র ঠিক পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্তরের সতর্কতা। ‘কমলা-সতর্কতা’ জারি হলে, স্কুল বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয় এবং সামরিক ঘাঁটিগুলির মধ্যে যাতায়াত অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত করা হয়ে থাকে। সতর্কতা জারি হওয়ার পরই, নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বায়ুসেনা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সুরক্ষা বন্দোবস্ত। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, দুদিন আগেই সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত জানিয়েছিলেন, পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে বালাকোটের জঙ্গি-ছাউনিগুলি পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে, সার্জিকাল স্ট্রাইকের মাধ্যমে এই ঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করেছিল ভারতীয় বায়ুসেনা।
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে কেন্দ্র ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকেই, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। উপত্যকাকে বিভিন্ন উপায়ে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছে পাকিস্তান। গতমাসেই, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছিল, গুজরাতের স্যর ক্রিক অঞ্চলে স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপের কমান্ডোদের পাঠিয়েছিল পাক সেনা। গত দু মাসে, নিয়ন্ত্রণরেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্তে বহু জঙ্গিকে নিধন করেছে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনী।