নয়াদিল্লি: ‘শরিকরা চাইলে প্রধানমন্ত্রী হব’। এমনই মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। তিনি বলেছেন, প্রথম কাজ হল সমস্ত দলগুলির মধ্যে জোট গঠন করে বিজেপিকে হারানো। এটা দুই পর্যায়ের একটা প্রক্রিয়া-প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা স্থির হবে দ্বিতীয় পর্যায়ে।
কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, ‘শরিকদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে যে এটা দ্বিস্তরীয় প্রক্রিয়া। প্রথম পর্যায়টা হল, সবদলগুলির একসঙ্গে আসা এবং বিজেপিকে হারানো। দ্বিতীয় পর্যায় হল ভোট শেষ হওয়ার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেব, এবার কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে’।
তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে রাহুল বলেছেন, শরিকরা চাইলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন।
একটি অনুষ্ঠানে রাহুল তাঁর মন্দির দর্শন থেকে শুরু করে আরএসএস সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি বলেছেন, মন্দির, গুরদ্বার এবং মসজিদে তিনি দীর্ঘদিন ধরেই যান। কিন্তু হঠাত্ করেই তাঁর মন্দিরে যাওয়া নিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে।
রাহুল বলেছেন, বিজেপি তাঁর মন্দিরে যাওয়াটা পছন্দ করছে না। এতে ওদের রাগ হচ্ছে। বিজেপি মনে করে মন্দিরে যাওয়ার হক শুধুমাত্র ওদেরই।
রাহুল গাঁধী বরাবরই বিজেপির সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। এ ব্যাপারে রাহুল বলেছেন, এ সব তিনি গায়ে মাখেন না। তিনি সমালোচনা বোঝেন, এতে বিচলিত হন না। তাঁর কাজ হল শোনা।
রাহুল বলেছেন, নেতৃত্বে একটা বিবর্তন। এতে ক্রমাগত বদল আসে এবং শিখতে হয়। তিনি মানুষের কথা বেশি করে শোনেন এবং তা বোঝার চেষ্টা করেন।
কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, তিনি ভারতকে খণ্ডিতভাবে দেখেন না, প্রত্যেক ভারতীয়কেই শরিক বলে মনে করেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি , বিজেপি এবং আরএসএস-কে একহাত নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, একটা দমবন্ধকর তত্ত্ব ১২০ কোটি ভারতবাসীর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে একমাত্র কংগ্রেসই লড়াই করতে পারে।
রাহুল বলেছেন, ‘আমি সমালোচনা গ্রহণ করতে পারি, প্রশ্নও শুনি, তাহলে প্রধানমন্ত্রী তা করতে পারবেন না কেন’।
তাঁর জীবনে বিশেষ কেউ রয়েছে কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে একটু হেসে রাহুল বলেছেন, তাঁর জীবনে মা ও বোনের মতো অনেক বিশেষ মানুষ রয়েছেন।
নোট বাতিল, বিদেশ নীতি ও প্রশাসন সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি সরকারের সমালোচনা করেছেন।