নয়াদিল্লি:সারা বিশ্বজুড়ে চলছে করোনাভাইরাসের দাপট। এই অতিমারী রুখতে বিভিন্ন দেশেই বিভিন্ন বিধিনেষেধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। করোনার দাপট প্রভাব ফেলেছে অর্থনীতিতেও। করোনা সংক্রমণের এই পর্ব ভারতে কর্মসংস্থানে বেশ ভালো রকম প্রভাব ফেলেছে। কর্মসংস্থানের হার অনেকটাই কমে গিয়েছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন অর্থাৎ আইএলও-র রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ তে ভারতে বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছে ৭.১১ শতাংশ, যা গত তিন দশকে সর্বনিম্ন। গত এক দশকে ভারতে বেকারত্বের হার প্রতিবেশীদেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল । ২০০৯ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কায় কর্মসংস্থানহীনতার হার ছিল সবচেয়ে বেশি।
করোনা অতিমারী পরিস্থিতিতে গ্রামীণ এলাকার সঙ্গে সঙ্গে শহরগুলিতেও বেকারত্বের হার দ্রুত বাড়ছে। ২৩ মে শেষ হওয়া সপ্তাহে শহরে বেকারত্বের হার ২৭০ বেসিস পয়েন্ট কমে হয়েছে ১৭.৪১ শতাংশ।  এরইমধ্যে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে শহরে কর্মসংস্থানহীনতার হার গত বছরের সর্বাধিক স্তর ২৭.১ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে। গত এপ্রিলে দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির পর শহরে বেকারত্বের হার দেড় গুণ বেড়েছে। 


শহরের তুলনায় বেশি বেকারত্বের হার গ্রামে
লকডাউনের কারণে কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে না। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞার কারণে শহরে বেকারত্বের হার বাড়ছে। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার শুরুর দিকের পর বেকারত্বের হারে বৃদ্ধি হয়েছে। ২৩ মে শেষ হওয়া সপ্তাহে এই হার ১৪.৭৩ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। এর আগে ৪ এপ্রিল শেষ হওয়া সপ্তাহে এই হার ছিল ৮.১৬ শতাংশ। এই সময়ে গ্রামীণ এলাকায় বেকারত্বের হার ৮.৫৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৩.৫২ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। ১৬ শেষ হওয়া সপ্তাহে তা আরও একটি বেড়ে হয় ১৪.৩৪ শতাংশ। 


শহরে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরা
শহরে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে কোভিড সংকটের দ্বৈত প্রভাব পড়ছে। একদিকে, পরিযায়ী- শ্রমিকদের ঘরে ফেরার কারণে কাজকর্ম কমছে। উৎপাদন ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়ছে। অন্যদিকে, উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় শ্রমিকরা কাজ পাচ্ছেন না। অটো ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি কোম্পানি তাদের উৎপাদন ইউনিট বন্ধ করে দিয়েছে। করোনার প্রথম ঢেউয়ের মতো দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর্বেও সম্প্রতি কর্মসংস্থানহীনতার হার বেড়ে গিয়েছে। বিশেষ করে শহরে কর্মসংস্থান কমেছে।