নয়াদিল্লি: যাঁদের হাতে রোগীর মরণ-বাঁচন নির্ভর করছে, সেই ডাক্তাররাই বলি হচ্ছেন কোভিড-১৯এর। ডাক্তারদের সর্বভারতীয় সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) এখনও পর্যন্ত কোভিড-১৯ এ ১৯৬ জন চিকিত্সকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করল। নোভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমে ডাক্তারদের মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে তাঁদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে তারা। চিঠিতে বলেছে, আইএমএ সর্বশেষ যে তথ্য সংগ্রহ করেছে, সেই অনুসারে আমাদের দেশ ১৯৬ জন ডাক্তারকে হারিয়েছে, যাঁদের ১৭০ জনের বয়স ৫০ এর ওপর, এবং সাধারণ রোগের চিকিত্সা করা ডাক্তার প্রায় ৪০ শতাংশ।
আইএমএ উল্লেখ করেছে, প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণে ডাক্তার মৃত্য়ুর সংখ্যা বাড়ছে। দেখা যাচ্ছে, এঁদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ জেনারেল প্র্যাকটিশনার। যেহেতু জ্বর ও আনুষঙ্গিক উপসর্গ নিয়ে একটা বড় অংশের মানুষ প্রথমে তাঁদের কাছেই যান, ফলে তাঁরাই প্রথম সংক্রমণের সংস্পর্শে আসছেন।
সংগঠনটি ডাক্তাররা বড় ঝুঁকির মধ্যে থাকা অংশ বলে তাঁদের ও তাঁদের পরিবারের জন্য় পর্যাপ্ত সুরক্ষা, নজরদারি নিশ্চিত করার, সব সেক্টরের ডাক্তারদের সরকারি মেডিকেল সুরক্ষা ও জীবনবিমার সুবিধা দেওয়ার দাবি করেছে। তারা বলেছে, আইএমএ দেশের সাড়ে তিন লাখের ওপর ডাক্তারের সংগঠন, যাঁরা সাধ্যের মধ্যে চিকিত্সা পরিষেবা দেন, এটা বলা জরুরি যে, কোভিড-১৯ সরকারি, বেসরকারি ডাক্তারের ভেদাভেদ করে না, সকলেরই সমান ক্ষতি করে।
আইএমএ-র জাতীয় সভাপতি ডঃ রাজন শর্মা বলেছেন, আরও উদ্বেগের কথা হল, ডাক্তার ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভর্তির বেড পাচ্ছেন না, ওষুধেরও ঘাটতি রয়েছে। আইএমএ তাই অতিমারীর সময় ডাক্তারদের সুরক্ষা ও কল্যাণে যথাযথ ও পর্যাপ্ত নজর দিতে ভারত সরকারকে আবেদন করছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডঃ আর ভি অশোকন বলেছেন, কোভিড-১৯ এ ডাক্তারদের মধ্যে মৃত্যুর হার বিপজ্জনক মাত্রা নিচ্ছে। প্রতিটি ডাক্তারের জীবন বাঁচানো গেলে তাঁদের ওপর নির্ভরশীল হাজার হাজার রোগীর সুরক্ষা সুনিশ্চিত হবে। পেশাগত কর্তব্য পালন করতে গিয়ে মারা যাওয়া ডাক্তারদের পরিবারবর্গ যাতে ভরসা, মানসিক শান্তি পান, তার উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন। সেজন্যই আইএমএ আমাদের স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারী সম্প্রদায়ের হতাশাজনক অবস্থার ওপর আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছে।
এপর্যন্ত কোভিড-১৯ এর বলি প্রায় ২০০ ডাক্তার, প্রধানমন্ত্রী নজর দিন, চিঠি দিল আইএমএ
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
08 Aug 2020 10:05 PM (IST)
আইএমএ-র জাতীয় সভাপতি ডঃ রাজন শর্মা বলেছেন, আরও উদ্বেগের কথা হল, ডাক্তার ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভর্তির বেড পাচ্ছেন না, ওষুধেরও ঘাটতি রয়েছে। আইএমএ তাই অতিমারীর সময় ডাক্তারদের সুরক্ষা ও কল্যাণে যথাযথ ও পর্যাপ্ত নজর দিতে ভারত সরকারকে আবেদন করছে।
NEXT
PREV
আজ ফোকাস-এ (aaj-focus-e) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -