নয়াদিল্লি: ফেব্রুয়ারির শেষদিক থেকেই চড়তে শুরু করেছিল পারদ, মার্চের শুরু থেকে রীতিমতো গরম পড়ে গিয়েছে দেশের বিভিন্ন অংশে। মৌসম ভবনও তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার পূর্বাভাসই দিচ্ছে। মার্চ থেকে মে পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের উত্তর প্রান্ত, উত্তর-পূর্ব, পূর্ব ভারতের একাংশ এবং পশ্চিম ভারতে দিনের বেলার তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে। তবে দক্ষিণ ভারত এবং মধ্য ভারতের একাংশে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকতে পারে। মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে পরের মাসে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হবে।


এ বছরের জানুয়ারিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গত ৬২ বছরে সবচেয়ে বেশি ছিল। দক্ষিণ ভারতে তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি ছিল। গত ১২১ বছরে জানুয়ারি সবচেয়ে উষ্ণ ছিল। দক্ষিণ ভারতে তাপমাত্রা ছিল ২২.৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯১৯ সালের জানুয়ারিতে তাপমাত্রা ছিল ২২.১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ‘আসন্ন উষ্ণ আবহাওয়ার মরসুমে (মার্চ থেকে মে পর্যন্ত) উত্তর, উত্তর-পশ্চিম এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশিরভাগ মহকুমা, পূর্ব এবং মধ্যে ভারতের পশ্চিমাংশের কয়েকটি মহকুমা এবং উত্তর ভারতের উপকূলবর্তী অঞ্চলের কয়েকটি মহকুমায় দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে।’


আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকতে পারে ছত্তীসগঢ়, ওড়িশা, গুজরাত, মহারাষ্ট্রের উপকূলবর্তী অঞ্চল, গোয়া ও অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে। 


আইএমডি-র ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, ‘মার্চ থেকে মে পর্যন্ত পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, পূর্ব উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকতে পারে। ছত্তীসগঢ় ও ওড়িশায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৭৫ শতাংশ বেশি থাকতে পারে। এই দুই রাজ্যে যথাক্রমে স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৮৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ০.৬৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকতে পারে। হরিয়ানা, চণ্ডীগড় ও দিল্লিতে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি থাকতে পারে।’


দক্ষিণ ভারতের জন্য অবশ্য আশার কথাই শোনাচ্ছে মৌসম ভবন। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ‘দক্ষিণ ভারতের উপকূলবর্তী অঞ্চল এবং সংলগ্ন মধ্য ভারতের বেশিরভাগ মহকুমায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকতে পারে।’


আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ‘উত্তর ভারত, উত্তর-পূর্ব ভারত, মধ্যভারতের পশ্চিমাংশ এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলের দক্ষিণাংশের রাতের তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে। তবে মধ্যভারতের পূর্বাংশ এবং উত্তর ভারতের কিছু অংশে রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকতে পারে।’