নয়াদিল্লি: বেঙ্কাইয়া নাইডুকে চিঠি দিয়ে বিজেপিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত জানালেন তেলুগু দেশম পার্টির (টিডিপি) চার রাজ্যসভা সাংসদ। রাজ্যসভা চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতিকে টিডিপি থেকে ইস্তফার চিঠি তুলে দিয়েছেন তাঁরা। ওয়াই এস চৌধুরি, টিজি বেঙ্কটেশ, সি এম রমেশ, এই টিডিপি সাংসদরা টিডিপি পরিষদীয় দলের বিজেপিতে মিশে যাওয়ার প্রস্তাব পাশ করেছেন। আরেক দেশম এমপি জি মোহন রাও এই তিনজনকে সমর্থন করে চিঠি দিয়েছেন। তিনি পরে বিজেপিতে যোগ দেবেন। চারজনের শিবির বদলে টিডিপির ভাঙনে জোর ধাক্কা খেলেন দলের সভাপতি চন্দ্রবাবু নাইডু। পক্ষান্তরে সংসদের ঊর্ধ্বকক্ষে পাল্লা ভারী হল বিজেপির।
রাজ্যসভার মোট সদস্যসংখ্যা ২৪৫। সেখানে বিজেপি একক বৃহত্তম দল, যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। তাদের বর্তমানে সাংসদ ৭১ জন। তাদের শক্তি বাড়ছে ৪ দেশম সাংসদের যোগদানে।
দলত্যাগী দেশম সাংসদরা প্রস্তাবে লিখেছেন, নরেন্দ্র মোদিজির অতুলনীয় নেতৃত্ব ও দেশের সামগ্রিক স্বার্থ মাথায় রেখে তিনি যে উন্নয়নমূলক পলিসি চালু করেছেন, তাতে উদ্ধুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা অবিলম্বে বিজেপিতে মিশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।


এমন সময় টিডিপিতে ভাঙন ঘটল যখন চন্দ্রবাবু নিজের পরিবারের সঙ্গে বিদেশ সফরে রয়েছেন। চন্দ্রবাবু দলীয় সাংসদদের বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে বলেছেন, শুধুমাত্র বিশেষ ক্যাটাগরির মর্যাদা আর রাজ্যের স্বার্থের জন্যই আমরা বিজেপির সঙ্গে লড়াই করেছি। বিশেষ মর্যাদার জন্য কেন্দ্রে মন্ত্রিত্ব বিসর্জন দিয়েছি, টিডিপিকে দুর্বল করার বিজেপির চেষ্টার নিন্দা করেছি। কাজেই এই সঙ্কট দলের কাছে নতুন ব্যাপার নয়। ক্যাডার, নেতাদের এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই।
চন্দ্রবাবুর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চৌধুরি ও রমেশ। সম্প্রতি কিছুদিন হল এই দুই সাংসদের বিরুদ্ধে দফায় দফায় তল্লাশি চালিয়েছে আয়কর দপ্তর, সিবিআই ও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
রাজ্যসভায় টিডিপির ৬ সাংসদ ছিলেন। চারজনের দল ভেঙে বেরিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পদক্ষেপ দলত্যাগ বিরোধী আইনের শর্ত ভাঙছে না। কেননা সংসদে শিবির বদল করে স্বীকৃতি পেতে হলে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন চাই।
এদিন বিজেপির অস্থায়ী সভাপতি জে পি নাড্ডা ও রাজ্যসভায় বিজেপির নেতা থাওয়ারচাঁদ গেহলতও বেঙ্কাইয়ার সঙ্গে দেখা করে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের একটি প্রস্তাব জমা দেন যাতে বলা হয়েছে, দেশম পরিষদীয় দলের বিজেপিতে মিশে যাওয়ায় দলের কোনও আপত্তি নেই। তিন দলত্যাগী দেশম সাংসদ পরে নাড্ডা, গেহলতের সঙ্গে বিজেপি দপ্তরে দেখা করে আনুষ্ঠানিকভাবে দলে যোগ দেন। নাড্ডা সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ওঁদের আশ্বস্ত করছি, বিজেপি ইতিবাচক ও সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলার রাজনীতিতেই বিশ্বাস করে।