নয়াদিল্লি: কর্নাটকে জোট সরকারের সংকটের ইস্যু নিয়ে আজ মঙ্গলবার লোকসভায় স্লোগান দিলেন রাহুল গাঁধী। কর্নাটকে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে জেডি(এস)-কংগ্রেস জোট সরকার। এজন্য কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে বিধায়ক ভাঙানোর অভিযোগ এনেছে। ১৭ তম লোকসভায় এই প্রথম রাহুলকে স্লোগান দিতে দেখা গেল। এদিন দুপুরে লোকসভায় আসেন রাহুল। ওই সময় লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী কর্নাটক প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ তোলেন। কিন্তু অধ্যক্ষ ওম বিড়লা তাঁকে এ বিষয়ে বলার অনুমতি দেননি। গতকালই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং অভিযোগ সম্পর্কে জবাব দিয়েছিলেন লোকসভার সহ নেতা রাজনাথ সিংহ।


অধ্যক্ষ তাঁকে অনুমতি না দেওয়ার পরও প্রসঙ্গটি উত্থাপনের চেষ্টা করেন অধীর।এক টুকরো কাগজে কিছু স্লোগান লিখে তাঁর পিছনে বসা দলের এক সাংসদদের দেন তিনি। তাঁরা তখন স্লোগান দিতে শুরু করেন। ‘তানাশাহী বন্ধ করো’, ‘শিকার কি রাজনীতি বন্ধ করো’-র মতো স্লোগান তাঁরা দিতে থাকেন। তাঁদের সঙ্গে যোগ যেন রাহুলও। তবে তাঁর গলার স্বর অন্যান্যদের মতো উচ্চগ্রামে ছিল না। কংগ্রেস সদস্যরা স্লোগান দিতে দিতে ওয়েলে নেমে এলে স্পিনার পোস্টার নিয়ে আসার ব্যাপারে তাঁদের সতর্ক করে অধ্যক্ষ।

এক সদস্য এ ব্যাপারে বলেন, ‘এটা আমাদের অধিকার’। কিন্তু অধ্যক্ষ বলেন, এটা অধিকারের মধ্যে পড়ে না।
শাসক জোটের কিছু বিধায়কের পদত্যাগের ফলে কর্নাটকের জোট সরকার অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে। জোট সরকারের ওপর থেকে ১৫ জন বিধায়ক সমর্থন প্রত্যাহার করেছেন বলে খবর।
কর্নাটক কংগ্রেসের অভিযোগ, ওই বিধায়কদের ইস্তফার পিছনে রয়েছে বিজেপি। ওই বিধায়কদের জন্য কত টাকা ব্যয় করা হয়েছে, তা জানানোর দাবি করেছে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, রাজ্য বিজেপি সভাপতি বিএস ইয়েদুরাপ্পার ব্যক্তিগত সহকারীকে ওই বিধায়কদের সঙ্গে দেখা গিয়েছে।