কয়েক মাস আগে কর্নাটক বিধানসভা ভোটের প্রচারে সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুলকে বলতে শোনা গিয়েছিল, কংগ্রেস আগামী লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন, এ নিয়ে তাঁকে বিদ্রূপ শুনতে হয়। এবার এ নিয়ে সুর বদল তাঁর।
গতকাল লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্সে রাহুল ন্যাশনাল স্টুডেন্টস অ্যান্ড অ্যালুমনি ইউনিয়ন (ব্রিটেন) এর সদস্যদের সঙ্গে আলাপচারিতায় রাহুল বলেন, ভারতে পরবর্তী নির্বাচন হবে একেবারে সামনাসামনি। একদিকে থাকবে বিজেপি, উল্টোদিকে প্রতিটি বিরোধী দল। এর কারণ, এই প্রথম ভারতের প্রতিষ্ঠানগুলি আজ আক্রান্ত। ভারতের সংবিধান ও ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে হামলার হাত থেকে রক্ষা করতে হচ্ছে আমাদের। এটা ভারত রাষ্ট্রকে রক্ষারই সামিল বলে মনে করি আমি ও গোটা বিরোধী শিবির।
রাহুলের বক্তব্য সম্পর্কে বিজেপি নেতা জগদম্বিকা পাল বিরোধী শিবিরকে নিশানা করে বলেন, বিরোধী শিবিরে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর মতো প্রার্থীই নেই।
তবে কংগ্রেস নেতা অলোক শর্মার দাবি, ২০০৪ বা ২০০৯, অতীতে সব সময়ই নির্বাচনের পরই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম প্রকাশ করেছে কংগ্রেস।
২০১৯ এর নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়া সম্পর্কে ব্রিটিশ রাজধানীতে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, একটি নির্দিষ্ট মানসিকতার বিরুদ্ধেই তাঁর লড়াই, এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পদের ব্যাপারে কিছুই ভাবছেন না তিনি। তাঁর বক্তব্য, ২০১৪-র নির্বাচনের পরই তিনি বুঝতে পারেন, আরএসএসের দর্শনের বিরুদ্ধেই লড়তে হবে, যা দেশের সামনে বিপদ বলে তিনি মনে করেন। রাহুল বলেন, ২০১৪-র পর দেশে ঘটে চলা ঘটনাগুলি দেশের কাঠামোর সামনে গভীর বিপদ হয়ে উঠেছে।
লোকজনশক্তি পার্ট নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান গতকাল বিরোধীদের কটাক্ষ করে বলেন, ২০১৯ এর পর প্রধানমন্ত্রী পদটি কারও জন্য খালি থাকবে না। ২০১৯-এ মোদীর জয়ের সামনে কোনও চ্যালেঞ্জই নেই, বিরোধী বরং এখন থেকেই ২০২৪-এর ভোটে কী করবেন, তা নিয়ে ভাবতে থাকুন।