উন্নাওয়ের যে মাখি গ্রামে ধর্ষণে অভিযুক্ত সেঙ্গার ও অভিযোগকারিণীর বাস, সেখানেই ইউনুস একটি মুদির দোকান চালাতেন। কিছুদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন বলে খবর। ধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই অবশ্য বলে, সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাজ্য পুলিশের দায়িত্ব, তা কেন্দ্রীয় সংস্থার আওতায় পড়ে না। অভিযোগকারিণীর বাবার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়, অভিযোগ ওঠে, কুলদীপ সেঙ্গারের ভাই অতুল ও তাঁর দলবল তাঁকে থানায় পিটিয়ে মেরেছে। ইউনুস সেই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন।
ইউনুসের মৃত্যুর পর তাঁর আত্মীয়রাই ময়না তদন্তের জন্য রাজি হননি বলে খবর। কিন্তু শুক্রবার জেলা প্রশাসন আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করে ময়না তদন্তের জন্য মাটি খুঁড়ে শব বার করার অনুমতি চান। এরপর গতকাল ইউনুসের পরিজনরা লখনউ যান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে দেখা করতে। তাঁদের সমস্যার কথা শুনতে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হজরতগঞ্জ কোতোয়ালিতে। ইউনুসের ভাই জান মহম্মদ দাবি করেছেন, কবর খুঁড়ে দেহ বার করার জন্য তাঁদের ওপর চাপ তৈরি করেছে প্রশাসন। তাঁরা চান না কবর থেকে দেহ বার করা হোক, কারণ তা শরিয়া বিরোধী। যদিও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী তাঁর মৃত্যুকে রহস্যময় দাবি করে টুইট করেন, নয়না তদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি দেহ কবর দেওয়া হয়েছে।
ধর্ষণের অভিযোগ আনা তরুণীর কাকা বুধবার ইউনুসের দেহ ময়না তদন্তে পাঠানোর জন্য পুলিশে আবেদন জানান। ইউনুসের ভাইয়ের আবার অভিযোগ, অভিযোগকারিণীর কাকা তাঁদের বলেন, ময়না তদন্তের জন্য রাজি হয়ে গেলে তাঁদের ১০-১২ লাখ টাকা দেওয়া হবে।