নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাসের হানায় ভারতের অবস্থা বেহাল। এখন দিনপ্রতি সংক্রমণের নিরিখে আমেরিকা ও ব্রাজিলের চেয়েও অনেকটা এগিয়ে ভারত। দৈনিক করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিশ্বের মোট মৃত্যুর ২০ থেকে ২৫ শতাংশই হচ্ছে ভারতে। পাকিস্তান. চীন, নেপাল, ভূটান, শ্রীলঙ্কা-র মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর দশা কিন্তু ভারতের মতো এতখানি সঙ্গিণ নয়। এসব দেশে মহামারী তুলনায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সারা পৃথিবীতে সর্বাধিক সংক্রমিতের নিরিখে আমেরিকা ছাড়া ভারতের চেয়ে এগিয়ে আর কোনও দেশই নেই।ভারতে সংক্রমিতের সংখ্যা ৪২ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। একদিনে ভারতে সংক্রমিতের সংখ্যা গত ২৪ ঘণ্টায় ৯০ হাজার ৮০২ জন। ভারতে সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ৩২ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ। সুস্থতার হার এখন ৭৭.৩০ শতাংশ। এই হার প্রশংসনীয়।
একবার প্রতিবেশী দেশগুলোর কোভিড পরিস্থিতি দেখে নেওয়া যেতে পারে। সবচেয়ে ভাল অবস্থায় রয়েছে ভূটান। সেখানে সংক্রমিত হয়েছেন মাত্র ২২৮ জন। এর মধ্যে ১৫০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ৭৮ জনের চিকিৎসা চলছে। সুস্থ হয়ে উঠছেন তাঁরা।
মায়নমারে সংক্রমিত হয়েছেন মাত্র ১ হাজার ৪১৯ জন। মারা গিয়েছেন ৮ জন। এখানে সুস্থতার হার অবশ্য ভালো নয়। মাত্রই ৩৮৫ জন সুস্থ হয়েছেন।
ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে বাংলাদেশে।সংক্রমিতের সংখ্যা তিন লক্ষ ২৫ হাজার।ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন ৪ হাজার ৪৭৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ২ লক্ষ ২১ হাজার জন। চিকিৎসা চলছে ৯৯ হাজার মানুষের।
প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটেছে পাকিস্তানে। মৃত্যুর নিরিখে চিন কিংবা বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে পাকিস্তান। ২ লক্ষ ৯৮ হাজার জন সংক্রমিত। মারা গিয়েছেন ৬ হাজার ৩৪২ জন। যেখানে চীনে মৃত্যু সংখ্যা ৪ হাজার ৬৩৪ এবং বাংলাদেশে ৪ হাজার ৪৭৯।
ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে সুস্থতার হার পাকিস্তানেই সবচেয়ে বেশি। সেখানে সুস্থ হয়েছে আক্রান্তদের ৯৬ শতাংশ। এক্ষেত্রে চিনে সুস্থতার হার ৯৪ শতাংশ, আফগানিস্তানে ৮০ শতাংশ, ভুটানে ৬৪ শতাংশ, নেপালে ৬৩ শতাংশ, বাংলাদেশে ৬৮ শতাংশ ও মায়ানমারে ২৭ শতাংশ।