পাক প্রধানমন্ত্রী কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলে সরাসরি ভারতকে যুদ্ধের হুমকি দেন। জবাবে বিদিশা বলেন, এটা কোনও দায়িত্বশীল রাজনীতিকের কথা নয়, স্রেফ রাজনৈতিক হুমকি। ইমরানের বক্তব্য হেট স্পিচ ছাড়া কিছু নয়, তিনি বিশ্বকে আমরা-ওরা, ধনী-দরিদ্র, উন্নত-উন্নয়নশীল, মুসলমান-অবশিষ্ট বিশ্ব এইভাবে ভাঙতে চাইছেন। রাষ্ট্রসঙ্ঘে বিচ্ছিন্নতাবাদের জন্ম দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এমন এক দেশের নেতা এই সব কথা বলছেন, যারা সন্ত্রাসবাদকে একচেটিয়া করে ফেলেছে। যেভাবে তিনি সন্ত্রাসবাদের সমর্থনে ব্যাখ্যা খোঁজার চেষ্টা করছেন তা নির্লজ্জ অভব্যতা।
তাঁর প্রশ্ন, ইমরান কি মেনে নিচ্ছেন তাঁর দেশ এই মুহূর্তে ১৩০ জন রাষ্ট্র সঙ্ঘ চিহ্নিত জঙ্গি ও ২৫টি জঙ্গি গোষ্ঠীর আবাসস্থল? হাফিজ সইদের মত জঙ্গিকে পেনশন দেন তাঁরা? তিনি প্রকাশ্যে ওসামা বিন লাদেনকে সমর্থন করেছেন যে ৯/১১ হামলায় ৩,০০০ মানুষকে হত্যা করেছিল?
বিদিশা আরও বলেন, কূটনীতিতে শব্দ গুরুত্বপূর্ণ। তাই গণহত্যা, রক্তের বন্যা, জাতিগত শ্রেষ্ঠত্ব, বন্দুক তুলে নেওয়া ও শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করার মত শব্দ ব্যবহার করে তিনি শুধু মধ্যযুগীয় মানসিকতারই পরিচয় দিচ্ছেন, ২১ শতকের নয়। ১৯৪৭-এ পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘু ছিলেন ২৩ শতাংশ, আজ তাঁরা ৩ শতাংশ। হিন্দু, খ্রিস্টান, বালুচ- সকলকে ভয়াবহ ব্লাসফেমি আইনের শিকার হতে হয়, জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয় তাঁদের। যেভাবে ১৯৭১-এ পাকিস্তান নিজেদের দেশেই গণহত্যা করেছিল, তা কেউ ভোলেনি। ইমরান খানের পুরো নাম যে ইমরান খান নিয়াজি, তাও মনে করিয়ে দেন তিনি। ওয়াকিবহাল মহলের মনে পড়তে পারে ’৭১-এ ভারতীয় সেনার কাছে আত্মসমর্পণ করা পাক জেনারেল এএকে নিয়াজির কথা।