কুপওয়ারা: করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছেয়ে ফেলেছে প্রায় পুরো দুনিয়াকে। তখনও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি ভেঙে হামলা করেই যাচ্ছে। প্রসঙ্গটি তুলে প্রতিবেশী দেশটির তীব্র সমালোচনা করে সেনাপ্রধান জেনারেল এমএম নারাভনে বললেন, গোটা বিশ্ব করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়ছে, কিন্তু পাকিস্তানের গণ্ডগোল বাঁধানো বন্ধ হয়নি, ওরা সন্ত্রাস রপ্তানিতেই ব্যস্ত। তিনি বলেছেন, আমরা যখন শুধু নিজেদের নাগরিকদেরই নয়, মেডিকেল টিম পাঠিয়ে, ওষুধ রপ্তানি করে বাকি বিশ্বকেও সাহায্য করছি, তখন পাকিস্তান শুধু সন্ত্রাস রপ্তানি করে যাচ্ছে। এর ফল ভালো হতে পারে না।
গত কয়েকদিনে নিয়ন্ত্রণ রেখা অশান্ত করে তুলেছে পাকিস্তান। কেরান সেক্টরে দিয়ে দফায় দফায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন, অনুপ্রবেশ ঘটানোর চেষ্টা করেছে পাক সেনা। পাল্টা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দুধনিয়াল এলাকায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের সন্ত্রাস চালানোর লঞ্চুপ্যাড নিশানা করে নিখুঁত আক্রমণ চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। গত ১ এপ্রিল কেরন সেক্টর দিয়ে অনুপ্রবেশ করা ৫ সন্ত্রাসবাদীকেও খতম করেছে তারা। দুধনিয়ালে পরে ভারতীয় সেনা যে লঞ্চ প্য়াড টার্গেট করে হামলা করে গুঁড়িয়ে দেয়, সেটাই ওরা ব্য়বহার করেছিল।
একদিকে লকডাউন, আরেকদিকে পাক সেনার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের পরিপ্রেক্ষিতে এই এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ২দিনের সফরে এসেছেন সেনাপ্রধান। লকডাউন চালু হওয়ার পর এই প্রথম তিনি সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় এলেন।
ভারতীয় সেনাবাহিনীতে করোনাভাইরাস পজিটিভ হওয়ার ঘটনা এপর্যন্ত মোট ৮টি বলে জানিয়েছেন তিনি।
সেনাপ্রধানকে উদ্ধৃত করে এএনআই বলেছে, এখনও পর্যন্ত পুরো ভারতীয় সেনাবাহিনীতে মোট আটটি করোনাভাইরাস সংক্রমণের অর্থাত্ পজিটিভ হওয়ার খবর রয়েছে। এদের দুজন ডাক্তার, একজন নার্সিং সহযোগী। চারজন চিকিত্সায় ভাল সাড়া দিচ্ছেন আর লাদাখে একজন আক্রান্ত হয়েছিলেন। সুস্থ হয়ে কাজেও যোগ দিয়েছেন তিনি।
যেসব সেনা জওয়ান কোনও করোনাভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেননি, তাঁদের নিজ নিজ ইউনিটে ফেরত পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি। সেনাপ্রধান জানান, এজন্য বেঙ্গালুরু থেকে জম্মু একটি ও বেঙ্গালুরু থেকে গুয়াহাটিতে আরেকটি-দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।