নয়াদিল্লি: বিগত পাঁচ দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজারের নিচে থাকল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শনিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৪৮,৬৯৮। একদিনে মৃতের সংখ্যা ১,১৮৩। এর আগে গত ২১ জুন করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ৪৩,৬৪০। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪,৮১৮ আক্রান্ত সুস্থ হয়ে উঠেছে। অর্থাৎ গতকাল অ্যাক্টিভ আক্রান্তর সংখ্যা কমেছে ১৭,৩০৩।
দেশে করোনায় মোট আক্রান্তর সংখ্যা ৩ কোটি ১ লক্ষ ৮৩ হাজার ১৪৩। মোট সুস্থের সংখ্যা ২ কোটি ৯১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৮৫। দেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৯৪ হাজার ৪৯৩। অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা ৫,৯৫,৫৬৫।
দেশে করোনায় মৃত্যুর হার ১.৩১ শতাংশ। রিকভারি রেট ৯৭ শতাংশ। অ্যাক্টিভ আক্রান্তের হার ২ শতাংশ। অ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্তর সংখ্যার নিরিখে বিশ্বে ভারত রয়েছে তৃতীয় স্থানে। মোট আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে ভারত বিশ্বে দ্বিতীয়। অন্যদিকে, আমেরিকা ও ব্রাজিলের পর ভারতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
দেশে এই নিয়ে টানা ৪৪ দিন নতুন করোনা আক্রান্তর সংখ্যার চেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা বেশি থাকল। ২৫ জুন পর্যন্ত দেশে ৩১ কোটি ৫০ লক্ষ করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। গতকাল ৬১ লক্ষ ১৯ হাজার করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪০ কোটি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। গতকাল প্রায় ১৭ লক্ষ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে পজিটিভিটির হার ৩ শতাংশের বেশি।
সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, যে সব জেলাগুলিতে করোনা ভাইরাসের ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ চিহ্নিত করা হয়েছে, সেই জেলাগুলিতে জন সমাবেশ বন্ধ, ব্যাপক পরীক্ষা ও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে করোনা টিকাকরণ সংক্রান্ত কনটেনমেন্ট ব্যবস্থা অবিলম্বে গ্রহণ করতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক আটটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে আর্জি জানিয়েছে। তামিলনাড়ু, রাজস্থান, কর্ণাটক, পঞ্জাব, অন্ধ্রপ্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, গুজরাত ও হরিয়ানা সরকারের কাছে লেখা চিঠিতে এই প্রস্তাবগুলি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ।