বিশাখাপত্তনম: আজ সফলভাবে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করল ভারত। বিশাখাপত্তনমে ভারতীয় নৌবাহিনীর স্টিলথ গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ডিআরডিও) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে।
ট্যুইট করে ডিআরডিও জানিয়েছে, ‘আজ আইএনএস বিশাখাপত্তনম থেকে সমুদ্র থেকে সমুদ্রে আঘাত হানতে সক্ষম ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে লক্ষ্যে আঘাত করেছে।’
সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, সমুদ্র থেকে সমুদ্রে আঘাত হানতে সক্ষম ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল সর্বোচ্চ যে দূরত্ব পর্যন্ত যেতে পারে, আজ সেটাই পরীক্ষা করা হয়েছে। এই পরীক্ষা সফল হয়েছে।
ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। সাবমেরিন, যুদ্ধবিমান, যুদ্ধজাহাজ বা ভূমি থেকে উৎক্ষেপণ করা যায় এই ধরনের শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র। শব্দের প্রায় তিন গুণ বেশি গতিতে ছুটে যেতে পারে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র।
আজ ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সফল হওয়ার পরেই ট্যুইট করে ভারতীয় নৌবাহিনী ও ডিআরডিও-কে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। তিনি লিখেছেন, ‘ভারতীয় নৌবাহিনীর মিশন রেডিনেসের দৃঢ়তা আজ ফের প্রমাণিত হল। আজ আইএনএস বিশাখাপত্তনম থেকে সফলভাবে ব্রহ্মোস মিসাইলের উন্নত সংস্করণ পরীক্ষামূলকভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী, ডিআরডিও এবং ব্রহ্মোস মিসাইলের অসাধারণ দলকে অভিনন্দন জানাই।’
ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রধান অস্ত্র ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। নৌবাহিনীর প্রায় সব বিভাগেই এই ক্ষেপণাস্ত্র মজুত রয়েছে। নৌবাহিনীর সাবমেরিনেও যাতে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা যায়, তার কাজ চলছে। আশা করা যায়, কিছুদিনের মধ্যেই সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণের যোগ্য ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি হয়ে যাবে। সেটা হলে ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তি বাড়বে। সূত্রের খবর, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে, এমন দেশগুলিকে এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়া হতে পারে।