নয়াদিল্লি: ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিরুদ্ধে ‘জাতিগত বৈষম্য’ ও ‘রূঢ় আচরণে’র অভিযোগে অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী সুরেশ প্রভুকে চিঠি আমলার। তিন বছরের বাচ্চা কান্নাকাটি করায় ব্রিটিশ সংস্থাটি রওনা দেওয়ার মুখে তাঁদের গোটা পরিবারকে লন্ডন-বার্লিন বিমান থেকে নামিয়ে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। ঘটনাটি গত ২৩ জুলাইয়ের।
ওই আমলা জানিয়েছেন, সেদিন বিমানে তাঁদের পিছনের আসনে থাকা একটি ভারতীয় পরিবারকেও নামিয়ে দেওয়া হয় বাচ্চাটির কান্না থামাতে তাকে বিস্কুট দেওয়ার জন্য। বিএ৮৪৯৫ বিমানটিকে টারম্যাকে ফিরিয়ে নেওযা হয়। সেখানে নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁদের বোর্ডিং পাস কেড়ে নেন।
এমন আচরণের প্রতিবাদে অভিযোগ দায়ের করার পরও কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস ম্যানেজার যথাযথ কারণ দেখাননি, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষও বিমানকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি বলে প্রভুকে জানিয়েছেন ওই আমলা। লিখেছেন, আমাদের লন্ডনে থাকার ব্যবস্থা নিজেদের করে নিতে হয়, পরদিন প্রচুর অর্থের বিনিময়ে বার্লিন যাওয়ার টিকিট মেলে। অন্য ভার়তীয় পরিবারটিকেও থাকার আয়োজন করে দেওয়া হয়নি, পরদিন টিকিট দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় পথ পরিবহণ ও হাইওয়ে মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব স্তরের ওই অফিসার ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত ও ব্রিটিশ বিমান সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য কঠোরতম ব্যবস্থা চেয়েছেন। জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী বাচ্চাকে কোনওমতে শান্ত করেন, কিন্তু এক ‘অসন্তুষ্ট’ পুরুষ বিমানকর্মী এসে বাচ্চাটিকে বকাঝকা করেন, তাকে আসনে বসতে বলেন। বাচ্চাটি জানালার ধারের আসন পেয়েছিল, মা তাকে ভোলানোর জন্য কোলে নিয়ে বসেছিলেন। বিমানকর্মীর এমন কর্কশ ব্যবহারে আমার ছেলে ভয় পেয়ে আবার কান্না শুরু করে দেয়। আমার স্ত্রী আবার ওকে সিটে বসিয়ে সিটবেল্ট বেঁধে দেন, কিন্তু আতঙ্কে কেঁদেই চলে ও। বিমান যখন ছাড়ব ছাড়ব করছে, সে সময় ক্রু-র এক সদস্য এসে অশালীন ভাষায় চেঁচিয়ে বলে ওঠেন, চুপ না করলে বিমানের জানালা দিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দেব!
বিমান সংস্থার মুখপাত্র যদিও বলেছেন, এমন অভিযোগ খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে, কোনও ধরনের বৈষম্য বরদাস্ত করি না আমরা। পূর্ণ তদন্ত হচ্ছে।