সূত্রের খবর, গতকালের বৈঠকে কয়েকজন মন্ত্রীও ছিলেন। সরকার ও সামরিকবাহিনী আধিকারিকরা জানান, প্যাট্রোলিং পয়েন্ট ১৪ (গালওয়ান উপত্যকা), প্যাট্রোলিং পয়েন্ট ১৫ (হট স্প্রিং) ও প্যাট্রোলিং পয়েন্ট ১৭ (গোগরা) থেকে সেনা সরিয়ে নিচ্ছে চিন। ১৫ জুন সংঘর্ষ হয় প্যাট্রোলিং পয়েন্ট ১৪-এ। সেখান থেকে দেড় কিমি পিছিয়ে গিয়েছে চিনের সেনা। তাদের তাঁবুও সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সামরিক বিভাগের আধিকারিকরা জানান, প্যাংগং লেকের কাছে রাস্তা, বাঙ্কার তৈরি করার ফলে সুবিধা পেয়ে যায় চিনের সেনাবাহিনী। ভারতের ফিল্ড রিপোর্ট অনুযায়ী, লাদাখ সেক্টর থেকে সরে গিয়েছে চিনের বায়ুসেনা। তবে পদাতিক সেনা মোতায়েন রয়েছে। ফলে তিব্বত ও শিনজিয়ান অঞ্চলে ভারতকে সতর্ক থাকতে হবে। অরুণাচল প্রদেশেও সতর্কতা জরুরি। কারণ, সীমান্তের কাছে রাস্তা, বাঙ্কার, সেনা ঘাঁটি তৈরি করেছে চিন।
সেনাবাহিনীর এক কম্যান্ডার জানিয়েছেন, চিনের সেনাবাহিনীকে পাল্টা চাপে রাখার জন্য ভারতও সীমান্তে জওয়ানের সংখ্যা বাড়াচ্ছে। চিনের আগ্রাসন রোখার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, চিন ধীরে ধীরে সেনা সরিয়ে নিলেও, লাদাখ সেক্টরের উপর নজর রেখেছে নয়াদিল্লি। প্যাংগং লেক ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে।