নয়াদিল্লি: স্কুলে তাঁর মেয়েকে  এক সহপাঠী অপদস্থ করেছিল। এরপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এই নিগ্রহের তীব্র প্রতিবাদ করলেন। ইনস্টাগ্রামে আজ শুক্রবার একটি পোস্টের মাধ্যমে স্মৃতি ঘটনার কড়া ভাষায় নিন্দা করলেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লিখেছেন, ‘আমি আমার মেয়ের সেলফি ডিলিট করে দিয়েছিলাম। কারণ ওর ক্লাসের এক নির্বোধ সহপাঠী ওর লুক নিয়ে উপহাস করেছিল এবং মায়ের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে ওকে কেমন দেখাচ্ছে তা নিয়ে অন্যান্য সহপাঠীদেরও খোঁটা দিতে বলেছিল’।
এরপর তাঁর মেয়ে তাঁকে ছবিটি ডিলিট করতে বলে। মেয়ের কথায় পোস্টটি ডিলিট করেন তিনি। কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ এবং বস্ত্রমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আমি ওর কথা শুনি। কারণ, ওর চোখের জল আমি দেখতে পারি না’।
স্মৃতি একইসঙ্গে বলেছেন, তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, এই ছবি ডিলিট করাটা আসলে উপহাসকারীকে প্রশ্রয় দেওয়ারই সামিল হয়েছে। ইনস্টাগ্রামে মেয়ের একটি ছবি পোস্ট করে স্মৃতি লিখেছেন, ছবিটি ডিলিট করার পরই তিনি বুঝতে পারেন এভাবে উপহাসকারীকেই প্রশ্রয় দিয়ে ফেলেছেন।



উপহাসকারীকে মেয়ের কৃতিত্বের কথা তুলে ধরে বার্তাও দিয়েছেন গর্বিত মা স্মৃতি ইরানি। বলেছেন, ঘুরে দাঁড়িয়ে ও জবাব দেবে।
স্মৃতি বলেছেন, ‘আমার মেয়ে একজন দক্ষ ক্রীড়াবিদ। লিমকা বুকসের রেকর্ড হোল্ডার, ক্যারাটেতে ব্ল্যাক বেল্ট, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে দুবার ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে। ও আমাদের আদরের মেয়ে আর হ্যাঁ, খুবই সুন্দর ও’।
লেখার শেষে হার্ট ইমোজি দিয়ে স্মৃতি লিখেছেন, ‘ওকে উপহাস করতে পার।কিন্তু ও ঘুরে দাঁড়িয়ে জবাব দেবে। ও জোইশ ইরানি এবং ওর মা হতে পেরে আমি গর্বিত’।