নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাসের ওষুধপত্র ও অন্যান্য সামগ্রীর বেআইনি বন্টনের অভিযোগে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্র্যাঞ্চ আজ জিজ্ঞাসাবাদ করল যুব কংগ্রেস সভাপতি শ্রীনিবাস বিভি-কে। দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র চিন্ময় বিসওয়াল বলেছেন, করোনার ওষুধ ও অন্যান্য জিনিসের বেআইনি বন্টনের ক্ষেত্রে চিকিৎসক দীপক সিংহের দায়ের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি হাইকোর্ট এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। আদালতের নির্দেশ অনুসারে, এই অভিযোগে তদন্ত করা হচ্ছে।
আদালতের নির্দেশ অনুসারে, দিল্লি পুলিশ কমিশনার এসএন শ্রীবাস্তব ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের একটি দলকে তদন্ত করে দেখতে বলেন। এর আগে পুলিশ আপ বিধায়ক দিলীপ পান্ডেকেও এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। এদিন সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেস সভাপতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করল পুলিশ।
এই ঘটনা নিয়ে ট্যুইট করেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। তিনি লিখেছেন, প্রাণরক্ষাকারী সবসময়ই হত্যাকারীদের থেকে বড় হয়ে থাকে।
তাঁর ট্যুইটে হ্যাশট্যাগ আই স্ট্যান্ড উইথ ওয়াইসি লিখেছেন। অর্থাৎ, রাহুল বলেছেন, তিনি যুব কংগ্রেসের পাশে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, করোনা সংকটের মধ্যে লোকজন শ্রীনিবাস বিভি-র সাহায্য চাইছেন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। আর লোকজনকে সাহায্য করতে তিনি সাধ্যানুযায়ী চেষ্টা করছেন। তাঁর এই ভূমিকা তারিফ আদায় করে নিয়েছে।
ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের জিজ্ঞাসাবাদ সম্পর্কে শ্রীনিবাস বলেছেন, আমরা লোকজনকে কীভাবে সাহায্য করছি, তা ওরাও জানে। আমি ওদের সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিয়েছি।
শ্রীনিবাস ট্যুইট করে বলেছেন, ওদের যে কাজ তা ওরা করেছে। আমাদের কাজ মানুষকে ভালোবাসা।
শ্রীনিবাস বলেছেন , পুলিশ শুক্রবার সকালে আমাকে ফোন করে এবং পৌনে বারোটা নাগাদ আমি ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের অফিসে পৌঁছই। ওরা আমার কাছে জানতে চায়, আমি এ সব কীভাবে করছি।
এই ঘটনা নিয়ে কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেড়া বলেছেন, যারা লাগাতার জিজ্ঞাসা করত, কংগ্রেস কী? তারা এখন দেখছে যে, কংগ্রেস এই সংকটকালে ২৪ ঘণ্টা, সাতদিন দেশজুড়ে যত বেশি সম্ভব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।
শ্রীনিবাসকে জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনায় কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে ট্যুইট করেছে।