পুলওয়ামা: জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ফের জঙ্গি হামলা। আজ বিকেলে পুলওয়ামার ত্রাল অঞ্চলে বাস স্ট্যান্ডে সিআরপিএফ-এর বাস লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। এই হামলায় অন্তত সাতজন সাধারণ মানুষ জখম বলে জানা গিয়েছে।


প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ত্রালের প্রধান বাস স্ট্যান্ডে এই জঙ্গি হামলার ঘটনার ঘটে। জঙ্গিদের ছোড়া গ্রেনেড বাতাসেই ফেটে যায়। ৬-৭ জন সাধারণ মানুষ সামান্য আহত হয়েছেন। সিআরপিএফ-এ যে জওয়ানরা সেখানে ছিলেন, তাঁরা সবাই নিরাপদে আছেন। ওই অঞ্চল ঘিরে ফেলা হয়েছে। জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।  


সূত্রের খবর, আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শ্রীনগরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাকিদের অবস্থা স্থিতিশীল।


২০১৯-এর ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সিআরপিএফ-এর কনভয়ে অতর্কিতে হামলা চালায় জইশ জঙ্গিরা। ৪০ জন বীরযোদ্ধাকে হারায় দেশ। এই ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয় দেশ। তারপরেও একাধিকবার পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। কয়েকদিন আগেই জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন বিজেপি নেতা তথা স্থানীয় কাউন্সিলর রাকেশ পণ্ডিতা। বুধবার পুলওয়ামার ত্রালে ঘটেছে ঘটনাটি।


কাশ্মীরের আইজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, শ্রীনগরে একটি বাড়িতে থাকতেন রাকেশ। বাড়িতে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়। এমনকি রাকেশের সঙ্গে দু'জন ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী থাকতেন। বুধবার সন্ধের পর ত্রাল পাইনে বন্ধুর বাড়িতে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তিন জঙ্গি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন রাকেশর বন্ধু সোমনাথ পণ্ডিতার মেয়েও।


কাশ্মীরের আইজি আরও জানিয়েছেন, রাকেশের জন্য ২ জন নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে না নিয়েই বন্ধুর বাড়িতে গিয়েছিলেন এই বিজেপি নেতা। এই ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ এবং নিরাপত্তবাহিনী। এরই মধ্যে ঘটে গেল আরও একটি হামলার ঘটনা।