এটা (উত্তরপ্রদেশ):  উত্তরপ্রদেশে আজব ঘটনা। বিবাহ-বিভ্রাটের সাক্ষী থাকল এটা জেলার কোতওয়ালি দেহাত পুলিশ সার্কেলের অন্তর্গত সিরোন গ্রাম। বিয়ের আসরে এসে হাজির হলেন জোড়া বর। পাত্রী বিয়ের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। চূড়ান্ত প্রস্তুতি ছিল বাড়িতে। এমন সময় বিয়ের দিন দুজন বর এসে হাজির হলেন কনের বাড়িতে। চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো ঘটনার এখানেই শেষ নয়। কনে মালা দিলেন এক বরের গলায়। কিন্তু বিয়ে হল অন্য বরের সঙ্গে। বিয়ের পর কনে দ্বিতীয় বরের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে যান। 
কিন্তু পুরো ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে প্রথম বর ও তাঁর বাড়ির লোকজন চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন। শেষপর্যন্ত পুলিশকে হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়। 
পুলিশ এই ঘটনায় এখন করেন বাবা ও কাকাকে হেফাজতে নিয়েছে এবং তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দ্বিতীয় বরের বাড়ির লোকজনকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ প্রসঙ্গে পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা ঘটনা তদন্তাধীন বলে কোনও মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছেন।


কয়েকদিন আগেই উত্তরপ্রদেশে আরও একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনাও বিয়ের আসরেই হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের ভাদোহি জেলায় কনের সাজে বিয়ের আসরে চলে এসেছিলেন এক যুবক। আসলে বিয়ে হচ্ছিল তাঁর গার্লফ্রেন্ডের। বিয়ের আসরে গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করতে মহিলা সেজে, বলা ভালো কনের বেশে বিয়ের আসরে চলে এসেছিলেন ওই যুবক। কিন্তু শেষপর্যন্ত তাঁর ওই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। তাঁকে ধরে ফেলেন কনের বাড়ির লোকজন ও আত্মীয়রা। এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল।
ভিডিওতে ওই ব্যক্তিকে লাল শাড়ি পরে মহিলার বেশে দেখা গিয়েছে। মাথায় পরচুলা, হাতে চুড়ি ও গয়নাগাঁটি পরে চলে এসেছিলেন তিনি। করেছিলেন চড়া মেকাপ। 
কনে তখন বিয়ের জন্য প্রস্তুত। বাড়িতে বিয়ের প্রস্তুতিও চূড়ান্ত। সেই সময়ই ওই ব্যক্তি কনের সঙ্গে দেখা করতে মহিলা সেজে চলে আসেন। তিনি কনের বাড়ির লোকজনের চোখে ফাঁকি দিতে পারবেন বলে মনে করেছিলেন। কিন্তু কনে যে ঘরে ছিলেন, সেখানে যেতে গিয়ে ধরা পড়ে যান তিনি। পুলিশকে ঘটনার কথা জানানোর আগে ওই ব্যক্তি তাঁর দুই বন্ধুর সঙ্গে পালিয়ে যেতে পেরেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ভিডিওতে তাঁকে ঘিরে কনের বাড়ির ক্রুদ্ধ লোকজনকে দেখা গিয়েছে। তাঁদের ওই ব্যক্তির ছদ্মবেশ খুলে দিতে দেখা যায়।