জম্মু: কালুচকের পর এবার সুঞ্জুয়ান। ফের জম্মুর সেনা ঘাঁটির ওপরে দেখা মিলল ড্রোনের। সেনা সূত্রে খবর, গতকাল তিন-তিনবার সুঞ্জুয়ান সেনা ঘাঁটির ওপর ড্রোন উড়তে দেখা যায়। প্রথমবার রাত ১টা ৮ মিনিটে, এরপর রাত ৩টে ৯ এবং শেষবার ভোর ৪টে ১৯ মিনিটে সন্দেহজনক ড্রোনকে চক্কর কাটতে দেখা যায়। মাথায় ছিল সাদা আলো। গতকাল কালুচক সেনা ঘাঁটির ওপরেও ড্রোন উড়তে দেখা যায়। অন্যদিকে, জম্মুর এয়ারফোর্স স্টেশনে ড্রোন-হামলার ঘটনার তদন্তভার নিল এনআইএ। জঙ্গি নাশকতা মোকাবিলায় এয়ারফোর্স স্টেশন চত্বরে মোতায়েন করা হয়েছে এনএসজি। 
গত এক বছরে সীমান্তে সেনার নজরদারি বেড়েছে। সূত্রের খবর, জঙ্গিদের সাহায্য করতে সীমান্তের ওপার থেকে ড্রোন উড়ে আসার সংখ্যাও বেড়েছে গত একবছরে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের দিক থেকে বেশ কয়েক বছর ধরেই সীমান্ত পেরিয়ে অস্ত্রশস্ত্র ও মাদক পাচারের জন্য ড্রোনের ব্যবহার করা হচ্ছে। পাকিস্তান জানে যে, নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতীয় সেনার কঠোর নজরদারি রয়েছে। পুরো নিয়ন্ত্রণ রেখাতেই রয়েছে কাঁটাতারের বেড়া। এরসঙ্গে  জায়গায় জায়গায় মোতায়েন রয়েছেন সেনা ও সেনা আধিকারিকরা।
এদিকে, জম্মুর এয়ারফোর্স স্টেশনে ড্রোন-হামলার ঘটনার তদন্তভার নিয়েছে এনআইএ। এনআইএ তদন্ত শুরু করে দিয়েছে এবং জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশের কাছ থেকে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত যে তদন্ত হয়েছে, সে সমস্ত নথি চেয়ে  পাঠানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই মামলায়  দায়ের করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাবে এনআইএ।
এরইমধ্যে সূত্র মারফৎ জানা গেছে যে, হামলার ক্ষেত্রে হাই গ্রেড বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল। তা আরডিএক্স বা টিএনটি হতে পারে। তদন্তে জানা গেছে যে, এই ঘটনার ক্ষেত্রে ড্রোনকে সীমান্তের ওপার থেকে চালনা করা হচ্ছিল।
সূত্রের খবর, জঙ্গিদের নিশানায় শুধু এয়ারফোর্স স্টেশনই ছিল না। ২৬-২৭ জুন রাতে কালুচক সামরিক এলাকায় দুটি সন্দিগ্ধ ড্রোন দেখা গিয়েছিল। দুটি ড্রোন ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় দেখা গিয়েছিল। জওয়ানরা ড্রোন দুটি নামানোর জন্য গুলি চালিয়েছিলেন, কিন্তু অন্ধকারের সুবিধা নিয়ে সেগুলি বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিল। প্রতিরক্ষা মুখপাত্রর বক্তব্য অনুসারে, জওয়ানরা তৎপরতা না দেখালে জঙ্গিরা আরও একটা হামলা চালানোর ক্ষেত্রে সফল হতে পারত।