নয়াদিল্লি ও কলকাতা: ২০১৮ সালের একটি পুরোন ঘটনায়  ঐশী ঘোষকে নোটিস জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) কর্তৃপক্ষের।ঐশী ছাড়াও অন্য এক পড়ুয়াকেও এই কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।  ২০১৮-তে এক প্রতিবাদ-বিক্ষোভের ঘটনায় এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে ঐশীদের ওই প্রতিবাদকে বিশৃঙ্খলা ও বিধিভঙ্গ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। 
এই শোকজ নোটিস ব্যাপারে  প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ঐশী। তাঁর অভিযোগ, তাঁদের  হেনস্থা করতেই নোটিস পাঠানো হয়েছে। আইনি পথেই মোকাবিলা করা হবে। 
 জেএনইউ-এর ছাত্রসংসদের সভানেত্রী ঐশী বলেছেন, করোনা অতিমারীর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতত বন্ধ থাকলেও চিফ প্রোক্টরের অফিস পড়ুয়াদের ভয় দেখাতে  ও শাস্তি দিতে নিয়মিত কাজ করে চলেছে। 
গত ১১ জুন ঐশীকে ওই নোটিস দেওয়া হয়। নোটিসে বলা হয়েছে, ২০১৮-র ৫ ডিসেম্বর বোর্ড অফ স্টাডিজের বৈঠকে ব্যাঘাতের ঘটনায় তাঁকে জড়িত থাকতে দেখা গিয়েছে।
 বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ প্রোক্টর রজনীশ কুমার মিশ্র ঐশীকে নোটিস পাঠানোর খবর স্বীকার করেছেন। ওই ঘটনার প্রায় তিন বছর পর এই নোটিস পাঠানো হয়েছে। এত দিন কেটে যাওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে চিফ প্রোক্টর বলেছেন, পড়ুয়ারা ফি বৃদ্ধি সংক্রান্ত ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবরোধ করেছিলেন দীর্ঘ সময় ধরে। ওই সময় মাধেমধ্যেই এ ধরনের বিশৃঙ্খলা চলেছিল। এরপর ২০২০ তে করোনা অতিমারীর পর্ব শুরু হয়েছিল। এখন আমরা সেই প্রক্রিয়া শুরু করেছি। 
নোটিশে ঐশীদের ওই বিক্ষোভকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিভঙ্গের সামিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নোটিসে তাঁর বিরুদ্ধে কেন শৃঙ্খলাভঙ্গ জনিত ব্যবস্থা নেওয়া  যাবে না, তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। নোটিসের জবাব দিতে তাঁকে ২১ জুন পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। উত্তর না দিলে ধরে নেওয়া হবে যে, আত্মপক্ষ সমর্থনে তাঁর কিছু বলার নেই এবং কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারে। 
এ ব্যাপারে ঐশী বলেছেন, অতিমারী পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু অফিসই কাজ করছে না। পড়ুয়ারা স্কলারশিপের বরাদ্দ পাচ্ছে না। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের হস্টেল বরাদ্দও হয়নি। ক্যাম্পাসে জলের সংকটও রয়েছে। পড়ুয়াদের টিকাকরণের কাজও হচ্ছে না। কিন্তু পড়ুয়াদের ভয় দেখাতে ও শাস্তি দিতে চিফ প্রোক্টরের অফিস নিয়মিত কাজ করছে। 
উল্লেখ্য, এবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে জামুড়িয়া থেকে সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত সিপিএম প্রার্থী হিসেবে লড়াই করেছিলেন ঐশী। কিন্তু তিনি হেরে গিয়েছেন।