নয়াদিল্লি: ভারতে আইনি রক্ষাকবচ হারাল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্যুইটার।তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৭৯ ধারায় পাওয়া ছাড় হারাল ট্যুইটার। এই ধারায় ট্যুইটারকে কোনও রকম আইনি ব্যবস্থা, মানহানি বা জরিমানা থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। সরকারি নিয়ম না মানায় আইনি রক্ষাকবচ খারিজ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ২৫ মে থেকেই রক্ষাকবচ খারিজ বলে জানানো হয়েছে। এই রক্ষাকবচ শেষ হওয়ার পর অশান্তিতে ইন্ধনের অভিযোগে ট্যুইটারের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এক বৃদ্ধকে মারধরের ঘটনার ভুয়ো ভিডিও ভাইরাল হওয়ার অভিযোগে ট্যুইটারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ট্যুইটার ছাড়াও আরও নয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে। ট্যুইটারের বিরুদ্ধে অশান্তিতে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ট্যুইটারের আইনি রক্ষাকবচ শেষ হওয়ার বিষয়ে কেন্দ্র সরকার কোনও নির্দেশ জারি করেনি। সরকারের পক্ষ থেকে তৈরি করা করা নিয়ম পালন না হওয়ার কারণে ওই রক্ষাকবচ খারিজ হয়ে গিয়েছে। ২৫ মে ওই রক্ষাকবচ শেষ হয়েছে বলে খবর।
কয়েকদিন ধরেই কেন্দ্রীয় সরকার-ট্যুইটার সংঘাত জারি ছিল। সরকারি গাইডলাইন মানার সবরকম চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ট্যুইটার। আইনি রক্ষাকবচ শেষ হওয়ার পর ট্যুইটা তারা বলেছে, আমরা তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রককে প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানাচ্ছি। অন্তর্বর্তী মুখ্য কমপ্ল্যায়েন্স আধিকারিক নিয়োগ করেছি। নয়া নির্দেশিকা পালনের ব্যাপারে সব ধরনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সোশ্যাল মিডিয়া নির্দেশিকা অনুসারে, ট্যুইটার এখনও পর্যন্ত তাদের মুখ্য কমপ্ল্যায়েন্স আধিকারিক, নোডাল কন্ট্যাক্ট আধিকারিক ও রেসিডেন্ট গ্রিভেন্স আধিকারিক নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য সরকারকে দেয়নি। এই নিয়মের আওতায়, ট্যুইটার আইটি আইনের নির্দেশিকা যতদিন পালন করছিল, ততদিন আইনি রক্ষাকবচ ছিল। সেই নিয়ম পালন না করায় ওই রক্ষাকবচ এমনিতেই শেষ হয়ে গিয়েছে।পুলিশ সূত্রের খবর, গাজিয়াবাদের ওই ঘটনা সংক্রান্ত ভিডিও সরিয়ে না দেওয়ায় ট্যুইটারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ ট্যুইট করে বলেছেন, ভারতীয় সংস্থা আমেরিকা কিংবা অন্যান্য দেশে ব্যবসা করতে গেলে, স্থানীয় আইন মেনে চলে। তাহলে ভারতের আইন মেনে চলার ক্ষেত্রে ট্যুইটারের মতো মাধ্যমের এত গা-ছাড়া ভাব কেন?