নয়াদিল্লি: ফের শিরোনামে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ)। সেখানকার ক্যাম্পাসে স্বামী বিবেকানন্দের একটি মূর্তির আনুষ্ঠানিক উন্মোচনের আগে তার বেদীতে রাজনৈতিক স্লোগান লেখার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। তাতে আপত্তিকর কথা রয়েছে। বিবেকানন্দের মূর্তি বিকৃতি, তার মর্যাদাহানির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কঠোর মনোভাব নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।


সম্প্রতি জেএনইউয়ের পরিস্থিতি তপ্ত হয়ে উঠেছে হস্টেল ফি বৃদ্ধি, নতুন পোষাক বিধি ও নতুন কার্ফুর সময়সীমা চালুর প্রস্তাব ঘিরে। ছাত্র বিক্ষোভের চাপে গতকালই ফি বৃদ্ধি নিয়ে পিছু হটেছে কর্তৃপক্ষ। তার মধ্যেই এই ঘটনা। জানা গিয়েছে, বিবেকানন্দের মূর্তিতে স্লোগান লেখার পিছনে দোষীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এমনকী একটি সূত্রের দাবি, যারা এ ঘটনায় ছিল, তাদের নাকি নথিভুক্ত করা হয়েছে। কংগ্রেসের ছাত্র শাখা এনএসইউআইয়ের সদস্য সানি ধিমান সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, আমরা এ ঘটনার নিন্দা করছি। জেএনইউয়ে বিবেকানন্দের মূর্তি ভাঙচুর করা হয়নি, কিছু লোক মূর্তির বেদিতে স্লোগান লিখেছে। জেএনইউয়ের কোনও পড়ুয়া একাজ করেছে বলে মনে হয় না। আমরা বেদি পরিষ্কার করে দিয়েছি।
২০১৮-র জুনে জেএনইউয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল বিবেকানন্দের মূর্তিটি বসানোয় সম্মতি দেয়। ঠিক হয়, প্রশাসনিক ব্লকের পাশে জওহরলাল নেহরুর মূর্তির উল্টোদিকে সেটি বসবে। তখন অবশ্য জেএনইউয়ের শিক্ষক সংগঠন ও ছাত্র সংসদ প্রশ্ন তুলেছিল মূর্তি বসানোর অর্থের উত্স নিয়ে। কর্তৃপক্ষ পরে জানায়, এক প্রাক্তনী গোটা খরচ বহন করছেন।
গতকাল জেএনইউয়ের উপাচার্য্য জগদীশ কুমারের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্লকে ঢুকে স্লোগান লেখেন কয়েকশ পড়ুয়ারা। তাঁকে সেখানে দেখতে না পেয়ে স্লোগান লেখেন তাঁরা। কোনওটিতে লেখা, আপনি আমাদের ভিসি নন। আপনার সঙ্ঘে ফিরে যান, কোনওটিতে বলা হয়েছে, মামিদালা , বাই, বাই ফরএভার। ২০১৬ থেকে নিখোঁজ জেএনইউয়ের পড়ুয়া নাজিবের উল্লেখ করেও স্লোগান চোখে পড়ে, নাজিবকে ফিরিয়ে আনো!