নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার যখন ভারতের জাতীয় দলের কোচ হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন, সৌরভই ছিলেন জাতীয় দলের অধিনায়ক। সৌরভ-রাইট জুটির অধীনে ভারত ২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছেছিল। সেই রাইটকে নিয়ে সৌরভ বলেছেন, ‘উনি আমার কেরিয়ারে প্রথম বিদেশি কোচ এবং এখনও পর্যন্ত আমার সবচেয়ে প্রিয় কোচ। ওঁর সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছিল কেন্টে। রাহুল দ্রাবিড় আমাকে বলেছিল যে, উনি ওদের কোচ (রাহুল তখন কেন্টের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলছিলেন)। আমি বলেছিলাম, আমিও ওঁর কাছে প্রশিক্ষণ নিতে চাই।’
সৌরভ আরও বলেছেন, ‘আমাদের বিশ্বকাপটা দারুণ গিয়েছিল। সম্পূর্ণ কৃতিত্ব ওঁর প্রাপ্য। কারণ আমাদের দলে তখন কিছু একগুঁয়ে মানসিকতার ক্রিকেটার ছিল। একসঙ্গে কাজ করতে করতে আমরা খুব ভাল বন্ধু হয়ে গিয়েছিলাম। কোচের চেয়েও রাইট আমার কাছে বেশি ভাল বন্ধু ছিলেন। উনি আমাকে বুঝতেন। আমিও ওঁকে বুঝতাম।’
ধারাভাষ্য দেওয়ার ফাঁকে আইসিসি-র ওয়েবসাইটের জন্য সাক্ষাৎকার দেন সৌরভ ও রাইট। পরে সেই সাক্ষাৎকারের ভিডিও টুইট করে আইসিসি। ভারতের জাতীয় দলের প্রথম বিদেশি কোচ ছিলেন রাইট। ২০০০ সাল থেকে ২০০৫ পর্যন্ত জাতীয় দলের দায়িত্ব সামলেছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘ভারতে কাজ করার সুযোগ পাওয়াটা আমার কাছে সব সময়ই বিশেষ সম্মানের।’ সৌরভের সঙ্গে তাঁর রসায়ন নিয়ে রাইট বলেছেন, ‘দুজনের জন্যই শুরুটা কঠিন ছিল।’ তারপর সৌরভকে তিনি বলেছেন, ‘তুমি নতুন অধিনায়ক আর আমি বিদেশি কোচ ছিলাম। তুমি ভাল সময়গুলো মনে রেখেছ। তবে বেশ কিছু কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়েও যেতে হয়েছিল আমাদের।’
বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছনোর পাশাপাশি সৌরভ-রাইট জুটির অধীনে ভারত লর্ডসে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জিতেছিল, ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে টেস্ট সিরিজে হারিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে টেস্ট সিরিজ ড্র করে ফিরেছিল এবং চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল।