ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: ভিডিও শ্যুটের জন্য বিদ্যাসাগর সেতু বা দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে মাঝগঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়ার পর এখনও খোঁজ নেই তিলজলার যুবক জাকির সর্দারের। তিন তিনটি রেলিং পেরিয়ে পুলিশের নজর এড়িয়ে কীভাবে ঝাঁপ দিলেন ওই যুবকরা? ঘটনার পর দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।


ঝাঁপ দেওয়ার পর কেটে গেছে ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময়... এখনও খোঁজ মেলেনি তিলজলার বছর বাইশের যুবক জাকির সর্দারের! ইচ্ছে ছিল দু চার ফুট নয়, প্রায় ২০০ ফুট উপর থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়ার দৃশ্য ইউটিউবে আপলোড করে চমকে দেবেন সকলকে! সেই হাতছানিতেই ভয়ঙ্কর খেলা! রবিবার দুপুরে বন্ধুদের তুমুল চিত্কারের মধ্যে মাঝ গঙ্গায় ঝাঁপ দেন মহম্মদ তস্তিগির আলম নামে এক যুবক। তাঁর দেখাদেখি আরও একজন দ্বিতীয় হুগলি সেতুর রেলিং থেকে ঝাঁপ দেন গঙ্গায়! ঝাঁপ দেওয়া প্রথম যুবককে উদ্ধার করা গেলেও দ্বিতীয়বারে ঝাঁপ দেওয়া জাকির সর্দারের খোঁজ এখনও মেলেনি।


এদিকে এই ঘটনার পর মঙ্গলবার সকালে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর পাশের ছবিটা অন্যদিনের তুলনায় বেশ খানিকটা আলাদা। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর দায়িত্বে থাকা বিদ্যাসাগর আউট পোস্ট এই ঘটনার পর পুলিশের সংখ্যা বাড়িয়েছে। সেতুর রেলিংয়ের গা ঘেঁষতেই দেওয়া হচ্ছে না কাউকে।


সোমবারই পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে, জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে দ্বিতীয় হুগলি সেতু। এক পুলিশ কর্মী জানান, লোকজন সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, নজর এড়িয়ে টপকে ঝাঁপ মারে, নজরদারি চলে সারাক্ষণ। কিন্তু প্রশ্ন হল, পুলিশ যতই নজরদারির দাবি করুক, দ্বিতীয় হুগলি সেতুর রেলিংয়ের ওপর আকছার দেখা যায় মানুষজনকে। এমনকী হেলমেট ছাড়া এক বাইকে তিনজনকে চড়ে যেতেও দেখা যায় যখন তখন। রবিবার দুপুরে এত হইচইয়ের মধ্যে এমন সাঙ্ঘাতিক ঘটনা ঘটল, প্রশ্ন উঠেছে, তখন পুলিশ কী করছিল।  


প্রশাসনিক সতর্কতা তো অবশ্যই প্রয়োজন, কিন্তু হুজুগের হিড়িকে এই ভয়ঙ্কর খেলার শেষ কোথায়? কবে হুঁশ ফিরবে মানুষের? এটাও বড় প্রশ্ন।