গত শনিবার ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল।
রাজ্যের শাসক জোটের দুই শরিক কংগ্রেস ও জেডিএস এই ভোটে পৃথকভাবেই লড়াই করেছিল। তবে ভোটের পর তারা যে হাতে হাত মিলিয়েই পুর বোর্ড গড়বে, তা দুই দলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জেডিএস ও কংগ্রেসের মিলিত আসন সংখ্যা ১,৩৩৯। এরফলে স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেস-জেডিএস জোট বিজেপির থেকে এগিয়ে রয়েছে এবং বেশিরভাগ পুরবোর্ডই জোটের দখলে আসতে চলেছে।
গত মে মাসে কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনে কোনও দলই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। বিজেপি একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে এসেছিল। ত্রিশঙ্কু বিধানসভায় প্রথমে বিজেপি সরকার গড়ে। কিন্তু বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় ইস্তফা দেন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। ভোটের ফলাফল ঘোষণার সময়ই জেডিএসকে সমর্থনের ঘোষণা করেছিল কংগ্রেস। ইয়েদুরাপ্পার ইস্তফার পর কংগ্রেসের সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন এইচডি কুমারস্বামী।
পুরসভার নির্বাচনকে রাজ্যের জোট সরকারের জনপ্রিয়তার অ্যাসিড টেস্ট হিসেবেই মনে করছিল রাজনৈতিক মহল। আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ভোটে জনমতের একটা প্রতিফলন দেখার সুযোগ ছিল এই ভোট।
তিনটি শহরের কর্পোরেশন, ২৯ টি সিটি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল, ৫১ টাউন মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল ও ২০ টাউন পঞ্চায়েতের জন্য ভোট গ্রহণ করা হয়।
বন্যার কারণে কোডাগু জেলার পুরসংস্থাগুলির ভোট গ্রহণ স্থগিত রাখা হয়।
বিজেপি বাগালকোট, বেলাগাভি, চামরাজনগর, চিত্রদূর্গ, দক্ষিণ কানাডা, দেবাঙ্গিরি ও উদুপি জেলায় এগিয়ে রয়েছে।
অন্যদিকে, বেল্লারি, বিদর, গাডাগ, হাভেরি, কালবুর্গি, কোপ্পাল, মহীশূর, রায়চুর, উত্তর কানাড়া ও ইয়াদগিরে এগিয়ে রয়েছে।
জেডিএস তাদের দূর্গ বলে পরিচিত হাসন, মান্ড্য ও তুমাকুরুতে এগিয়ে রয়েছে।