নয়াদিল্লি: অধ্যাবসায় ও মেধার জেরে যে কোনও প্রতিকূলতাই জয় করা যায়। এরই একটি দৃষ্টান্ত গড়লেন পেট্রোল পাম্পের এক কর্মীর মেয়ে।  তিনি দেশের অন্যতম অগ্রগন্য উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কানপুর আইআইটি-তে জায়গা করে নিলেন। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান শ্রীকান্ত মাধব বৈদ্য ওই ছাত্রীর কৃতিত্বের কথা জানিয়ে ট্যুইটারে একটি পোস্ট করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কেরলের ইন্ডিয়ান অয়েলের পেট্রোল পাম্পের এক কাস্টোমার অ্যাটেনড্যান্টের মেয়ে আর্যা রাজাগোপালন কানপুর আইআইটি-তে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। বৈদ্য বলেছেন, আইওসি-র পেট্রোল পাম্প কর্মীর রাজাগোপালনের মেয়ে আইআইটি কানপুরে প্রবেশের কৃতিত্ব অর্জন করে আমাদের সবাইকে গর্বিত করেছেন।



এই পোস্টের সঙ্গে মেয়ের সঙ্গে গর্বিত বাবার একটি ছবিও শেয়ার করেছেন। আর সেই ছবি তোলা হয়েছে, রাজাগোপালন যে পেট্রোল পাম্পে কাজ করেন, সেখানে। গত ১৫ বছর ধরে এই পেট্রোল পাম্পেই কাজ করছেন রাজাগোপালন।  বৈদ্য তাঁর ট্যুইটে লিখেছেন, শুভেচ্ছা আর্যা, এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। 
বৈদ্যর ওই পোস্ট ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ১২ হাজারের বেশি লাইক পড়েছে এই মাইক্রো ব্লগিং সাইট ট্যুইটারে। আর কমেন্টস সেকশনে আর্যার কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা। 


আর আর্যার এই সাফল্য নজর কেড়ে নিয়েছ কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীরও। তিনিও ট্যুইট করে আইআইটি পড়ুয়াকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। আর্যা রাজাগোপাল তাঁর বাবা এসএইচ রাজাগোপালকে গর্বিত করেছেন। তাঁর এই সাফল্যে ভারতের শক্তি ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকেই গর্বিত।  বাবা ও মেয়ে-দুজনেই সবার কাছে অনুপ্রেরণা ও রোল মডেল। 


আর্যাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে আইএএস অফিসার পি মানিভান্ননও। 


সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, আইআইটি কানপুকে এমটেক কোর্সের জন্য ভর্তি হয়েছেন। তাঁর মেয়েকে নিয়ে কী ধরনের স্বপ্ন তাঁর রয়েছেন, এই প্রশ্নের উত্তরে রাজাগোপালন বলেছেন, পড়াশোনা শেষ করে তাঁর মেয়ে যদি আইওসি-তে কাজ পান তাহলে খুব ভালো হবে।


দারিদ্র্য বা অন্য কোনও প্রতিকূলতাই বাধা হয়ে উঠতে পারেনি আর্যার উচ্চশিক্ষার স্বপ্নে। আর এই অধ্যাবসায় স্বাভাবিকভাবেই সবার প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে।