ওয়েনাড়: ক্লাসরুমেই সর্পদংশনে মারা গেল ১০ বছরের এক ছাত্রী। কেরলের ওয়েনাড় জেলার সুলতান বাথেরির এক স্কুলে এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত পঞ্চম শ্রেণির ওই পড়ুয়ার নাম শেহালা। ওই স্কুলের পড়ুয়ারা জানিয়েছে, সাপে কামড়ানোর প্রায় এক ঘন্টা পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এক সহপাঠীর অভিযোগ,  শেহালাকে সাপে কামড়ালেও শিক্ষক পড়ানো থামাননি। এরপর তার শেহালার বাবা এসে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু ততক্ষণে নীল হয়ে গিয়েছিল তার পা।


গত বুধবার এই ঘটনা ঘটেছে। টেলিভিশন চ্যানেলগুলিতে যে ছবি সম্প্রচার করা হয়েছে, ওই ক্লাসরুমে যেখানে ছাত্রীটি বসেছিল, সেখানে ডেস্কের নিচে গর্ত রয়েছে।

ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসার পর এক শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

শেহালার এক আত্মীয় অভিযোগ করেছেন, স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ছিল। এই সঙ্গে গাফিলতি ছিল যেখানে তাকে চিকিত্সার জন্য প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়, সেই হাসপাতালেরও। পরে ছাত্রীকে কোঝিকোড় মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়।

ওয়েনাড়ের জেলা কালেক্টর পুরো ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ওই ছাত্রীর চিকিত্সার ক্ষেত্রে বিলম্বের অভিযোগ সম্পর্কে রিপোর্ট জমা দিতে শিক্ষা বিভাগের এক আধিকারিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  কালেক্টর জানিয়েছেন, অতিরিক্ত জেলা শাসককে ওই স্কুলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এক ডেপুটি ডিরেক্টর বৃহস্পতিবার স্কুলে এসে সংশ্লিষ্ট শ্রেণিকক্ষটি পর্যবেক্ষণ করেন। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী সি রবীন্দ্রনাথ এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছেন।

ছাত্রীর মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ স্থানীয় লোকজন ও আত্মীরা ওই স্কুলের স্টাফরুমে ঢুকে শিক্ষকদের ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ কোনওক্রমে পরিস্থিতি সামাল দেয়।